রস খেতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ৩ তরুণের
Published: 18th, January 2025 GMT
শীতের সকালে মোটরসাইকেলে করে খেজুরের রস খেতে যাচ্ছিলেন তিন বন্ধু। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই গাড়িচাপায় প্রাণ হারান তারা। গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার পোনা গ্রামের বিষ্ণু দাসের ছেলে দীপক দাস দিপু (১৮), বাবুল নাগের ছেলে বিশাল নাগ (১৯) ও মনির মৃধার ছেলে হৃদয় মৃধা (১৮)। দীপু দাস নবম শ্রেণি ও বিশাল নাগ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন হৃদয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পোনা গ্রাম থেকে রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে ১২ তরুণ তিনটি মোটরসাইকেলে বের হন। পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কালিনগরে এলাকায় যাচ্ছিলেন তারা। দীপক, বিশাল ও হৃদয় এক মোটরসাইকেলে ছিলেন। ৬টার দিকে মহাসড়কের হিরণ্যকান্দির চায়না প্রকল্পের সামনে খুলনাগামী একটি বাস সামনে থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দীপক ও বিশাল মারা যান। হৃদয়কে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মহাসড়কের সুফিয়া রোড এলাকার ইউটার্ন মুখে চট্টগ্রামগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের দমদমা বড়ুয়াপাড়ার নিপু বড়ুয়া, ছনি বড়ুয়া ও রুবেল বড়ুয়া।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন তিনজন। পথে একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তিনজনের মৃত্যু হয়।
পিরোজপুরে রাজিব পরিবহনের বাসচাপায় নিহত হয়েছেন রিয়াদ কাজী ও শাহীন মাঝি নামে দুই পথচারী। রিয়াদের বাড়ি সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে এবং শাহীনের বাড়ি ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট গ্রামে। তারা সম্পর্কে শালা-দুলাভাই। বৃহস্পতিবার রাতে শংকরপাশা ইউনিয়নের মোল্লাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন কাপড় ব্যবসায়ী আদম আলী (৫৫) ও পোশাকশ্রমিক সিয়াম (১৫)। বৃহস্পতিবার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে যান ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মুক্তা রামপুর এলাকার আদম আলী। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তারা আরেকটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ভাতিজা নবী হোসেন ও জামাতা সাখাওয়াত হোসেন। রাত ৩টার দিকে আসাদগেট এলাকায় তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি।
বৃহস্পতিবার রাতে পল্লবীর কালশী এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় কিশোর সিয়াম। তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রূপনগর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত সিয়াম।
গতকাল সন্ধ্যায় হাতিরঝিল এলাকার মহানগর সেতুর ওপর মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আফজাল হোসেন নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।
কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় বিয়ের তিন দিন আগে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন নোমান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারা ডুমখালী রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নোমান ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর এলাকার বশির আহমদের ছেলে। ২০ জানুয়ারি তাঁর বিয়ের দিন ছিল বলে জানা গেছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আব্দুল করিম নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে হুনাখালী নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আব্দুল করিম টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বহুরা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় সোহান রহমান নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান কলেজ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোহান ভেড়ামারা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বাসের ১০ যাত্রী। গতকাল ভোরে উপজেলার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মাহবুব মোড়ল। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের চালক ছিলেন। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক সড়কে দুই ট্রাক ও বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে ওই সড়কের ভাগদী কদমতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ট্রাকচালক সালাউদ্দিন, বাসচালক আশরাফুল ইসলাম, বাসের যাত্রী জজ মিয়া, রনি, রফিক, সেলিম মিয়া, সুমন ইসলাম ও সুকুমার।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সমকাল প্রতিবেদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র উপজ ল উপজ ল য় উপজ ল র এল ক র সড়ক র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোবাসে গান বাজাতে বাজাতে প্রকৌশলীকে হত্যা
হা-মীম গ্রুপের ‘দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার’ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আহসান উল্লাহকে হত্যার লোমহর্ষক তথ্য উঠে আসছে। ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে উচ্চ শব্দে গান শুনতে শুনতে প্রথমে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। হাত-পা বাধা বেঁধে আহসানকে গাড়ির পেছনের অংশে নিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর পা দিয়ে বুক ও শরীরের নানা অংশে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা। পরে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাশ গুম করে। নিহতের পিঠ ছিল ক্ষতবিক্ষত। মাইক্রোবাসের ভেতরকার চিৎকার ও গোঙানির শব্দ যাতে বাইরে না পৌঁছে এ জন্য চার ঘণ্টা উচ্চ শব্দে গান ছেড়ে রাখা হয়। আদালতে আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২৩ মার্চ হত্যার শিকার হন হা-মীমের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার আহসান। আশুলিয়ার কর্মস্থল থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকার বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে আহসানের গাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম ও তার বন্ধু নুরুন্নবীও রয়েছেন। তারা এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ইসরাফিল ও সুজন ইসলাম আরও দু’জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তুরাগ থানা পুলিশ। জড়িতদের জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও টার্গেট করার কারণ উঠে এসেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে চালক সাইফুল দাবি করেন- ১২ মার্চ হত্যার ছক চূড়ান্ত করা হয়। এটি বাস্তবায়নের পূর্ব পরিচিতি নুরুন্নবীকে ভাড়া করেন তিনি। এক সময় নুরুন্নবী ও সাইফুল একসঙ্গে গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। পুরো মিশন সফল করতে ইসরাফিল ও সুজনকে ম্যানেজ করেন নুরুন্নবী। ঘটনার দু’দিন আগে তুরাগ এলাকা রেকি করেন তারা। আহসানকে নিয়ে অফিস থেকে ফেরার পথে কোথায় প্রস্রাব করার নাম করে গাড়ি থামাবেন তা দেখিয়ে দেন। সাইফুল অন্যদের টোপ দেন- গাড়িতে আহসানকে জিম্মি করা গেলে অনেক টাকা আদায় করা সম্ভব হবে।
ছক মোতাবেক তুরাগ এলাকার পূর্ব নির্ধারিত স্পটে বিকেল ৪টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন চালক। এরপর তার তিন সহযোগী মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন। যাদের আগে থেকে ভাড়া করেন সাইফুল। তাদের মধ্যে দু’জন গাড়ির পেছনের আসনে আহসান উল্লাহ’র পাশে, অন্যজন বসেন চালকের বাম পাশের আসনে। প্রশ্রাব করার নাম করে মাইক্রোবাস থেকে নেমে যাওয়ার পর সাইফুল ফের গাড়িতে ফিরে নতুন নাটক সাজান। তিনি সহযোগীকে দেখে না চেনার ভান করে বলে উঠেন- ‘আপনারা কারা আমার গাড়িতে উঠেছেন।’ তারা কোনো উত্তর দেননি। এরপরই আহসানের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। চোখ বাঁধা হয়নি। বাজানো হয় উচ্চ শব্দে গান। চারজনের কথোপকথন ও কর্মকাণ্ড দেখে অল্প সময়ের মধ্যে আহসান বুঝতে পারেন তারা সবাই একে অপরের পরিচিত। প্রাণে বাঁচতে আহসান তাদের ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার কথা জানান। তবে তারা সাড়া দেননি।
বেড়িবাঁধ, গাবতলী, দিয়াবাড়ি রেলস্টেশন, ১৬ নম্বর সেক্টরে ঘুরাতে থাকেন। খুনের আগে গাবতলী এলাকায় আহসানকে ইফতার করান তারা। এরই মধ্যে তার ব্যাংকের কার্ড থেকে দু’টি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন জড়িতরা। এরই মধ্যে একটি নম্বর সাইফুলের স্ত্রীর নামে নিবন্ধন করা। আরেকটি নম্বর তার বোনের। আরও ১০ হাজার টাকা কার্ড থেকে তুলে নেয় তারা। এছাড়া নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে। সব মিলিয়ে ৮৫ হাজার হাতিয়ে নেওয়া হয়। তার মধ্যে নুরুন্নবীকে মাত্র এক হাজার ও ইসরাফিলকে দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। সুজন কোনো টাকা পায়নি। ভাগের টাকা সবাইকে পরবর্তীতে দেওয়া হবে জানান সাইফুল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন নুরুন্নবী। তখন সাইফুল সহযোগীদের বলেন- হত্যা না করলে একজনও বাঁচব না। এরপর অন্যরা তাদের হত্যা মিশনে সহযোগিতা করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা জানান, আহসানকে হত্যার কারণ হিসেবে দু’টি বিষয়ের কথা এখন পর্যন্ত দাবি করছেন চালক সাইফুল। প্রথমত- গত আগস্টে সামান্য দুর্ঘটনায় সাইফুলের মাইক্রোবাসের কিছু ক্ষতি হয়েছিল। এরপর সাইফুল নিজ উদ্যোগে ইন্সুরেন্স থেকে মেরামত বাবদ টাকা আদায় করতে সহায়তা করেন। তার ধারণা ছিল ওই টাকা থেকে একটি ভাগ আহসান তাকে দেবেন। তবে সেটা না দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার। আবার মাসে ১৯ হাজার টাকা বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার মনক্ষুন্ন ছিলেন তিনি। সাইফুলের ভাষ্য- এ ক্ষোভ থেকে মালিককে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের ফন্দি আঁটেন।
র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিক বিন হালিম সমকালকে বলেন, অফিস থেকে বাসায় না ফেরায় তুরাগ থানায় জিডি করেছিল পরিবার। এরপর শুরু হয় তদন্ত। একে একে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তুচ্ছ কারণে নৃশংসভাবে প্রকৌশলীকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৫ মার্চ দিয়াবাড়ির ১৬ নমম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের রাস্তার পাশ থেকে আহসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর র্যাব ছায়াতদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধা থেকে মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ২৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে নূরন্নবী ও গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে ইসরাফিলকে গ্রেপ্তার করে র্যব। সবশেষে ধরা হয় সুজনকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরহাদুজ্জামান নবীন বলেন, ছুরি, স্ট্যাম্প, ব্যাংকের চেক, ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ভয় দেখানোর জন্য ছুরি রাখা হয়।