ঠান্ডার কারণে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান হবে কংগ্রেস ভবনের ভেতরে
Published: 18th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান আগামী সোমবার দেশটির ক্যাপিটাল হিলের কংগ্রেস ভবনের একটি অংশে অনুষ্ঠিত হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এমনটি করা হচ্ছে বলে শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান খোলাস্থানে হয়ে থাকে। কিন্তু এবার ওয়াশিংটনে তীব্র ঠান্ডার পূর্বাভাস থাকায় তা বাইরে করা অনিরাপদ হবে। এ কারণে এবার তা কংগ্রেস ভবনের ভেতরে করা হবে।
ট্রাম্পে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল লিখেছেন, ‘দেশজুড়ে “আর্কটিক ব্লাস্ট” চলছে। এ কারণে অভিষেক অনুষ্ঠানের ভাষণ, প্রার্থনা এবং অন্যান্য বক্তৃতা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল রোটুন্ডায় করার নির্দেশ দিয়েছি।’
আর্কটিক ব্লাস্টের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যায়, বেড়ে যায় তুষারপাত। বাতাসেও পরিবর্তন আসে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের নানা স্থানে আর্কটিক ব্লাস্ট শুরু হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।