টঙ্গী থানায় হট্টগোল করে গ্রেপ্তার চার ছাত্রদল কর্মী
Published: 18th, January 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানায় অনধিকার প্রবেশ করে হট্টগোলের ঘটনায় পুলিশ ছাত্রদলের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের জিএমপির ৮৫ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে গতকাল শুক্রবার নিশ্চিত করেন থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– এনামুল হক মণ্ডল, সাইদ ব্যাপারী, অন্তর আহমদ জাকির ও ইব্রাহিম খলিল। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি টঙ্গীর ছাত্রদল নেতা আল আমিন ইসলাম স্বাধীনের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সমর্থক কিছু নেতাকর্মী থানায় আসেন। তারা স্বাধীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন।
জানা গেছে, ওই নেতাকর্মীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন পুলিশ কর্মকর্তারা। উল্টো তারা থানার ভেতর ঢুকে হট্টগোল শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম বাদী হয়ে জিএমপির ৮৫ ধারায় মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার দেখানো হয় চারজনকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুমাইয়ার আর কেউ রইল না
সাভারের আশুলিয়ায় গোমাইল এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা, বাবা ও ফুফুর পর এবার চার বছর বয়সী ভাই শোয়াইদ ইবনে তাহমিদও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার কেউ আর রইল না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শোয়াইদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান শিশু শোয়াইদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ওই ঘটনায় এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে মনির হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ দগ্ধ। এ ছাড়া দগ্ধ চারজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় সুমাইয়াও ওই দিন দগ্ধ হয়েছিল। তার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়েছে। মা-বাবা ও ভাই চলে যাওয়ায় ওই পরিবারের শিশু সুমাইয়াই কেবল এখন বেঁচে রয়েছে। আগুনে শোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ, বাবা সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ এবং মা শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান সুমাইয়ার বাবা সুমন, তিন দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মা শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে শোয়াইদের ফুফু শিউলি মারা গেছেন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে।
নিহত শোয়াইদের বড় চাচা সোহেল বলেন, আগুনের ঘটনায় আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর ও তাদের ছেলেটাও চলে গেল। শুধু তাদের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। সে এখন সুস্থ আছে। ওই আগুনে আমার বোন শিউলিও মারা গেছে।
সোহেল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ও সুমন আশুলিয়া এলাকায় চাকরি করেন। ছোট বোন শিউলি শবেবরাতের রাতে ভাই সুমনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সে জন্য তিনিও ওই বাসায় গিয়েছিলেন। ওই দিনের আগুন তাদের পরিবারের চারজনকে কেড়ে নিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।