বহুল আলোচিত আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে আজ শনিবার। শিয়ালদহ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
আদালত সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় দুপুরে রায় ঘোষণা করতে পারেন বিচারক অনির্বাণ দাস। গত বছর ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার হয় এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পুরো ভারত। তাই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিণতি কী হয়, তা জানতে গোটা দেশই মুখিয়ে রয়েছে।
আরজি কর মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে নিম্ন আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা, কলকাতা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েকজন সহপাঠী। সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা
প্রায় চার বছর আগে রাজধানীর শাহ আলী থানায় দায়ে করা মাদক মামলায় ইশরাত রফিক ওরফে ডা. ঈশিতাকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী খালাসের রায় দেন।
ডা. ঈশিতার আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এজন্য আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।”
রায় ঘোষণার সময় ডা. ঈশিতা ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। খালাস পাওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।
২০২১ সালের ১ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর থেকে ডা. ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট ভুয়া পরিচয় দেওয়া, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহ আলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান ডা. ঈশিতা।
এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডা. ইশিতাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর আপিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
১০০ পিস ইয়াবা এবং পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার দেখিয়ে ২০২১ সালের ২ আগস্ট শাহ আলী থানায় ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যাব-৪ এর ডিএডি খন্দকার মো. আমির আলী।
মামলা তদন্ত করে র্যাব-৪ এর উপ-পরিদর্শক মঈনুল হোসেন ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ব্যবহারের দায়ে ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে আরেক মামলায় সম্প্রতি চার্জ গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক