ঝিনাইদহে আ. লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৫
Published: 17th, January 2025 GMT
ঝিনাইদহ শহরের ষাটবাড়িয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৪টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ষাটবাড়িয়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ষাটবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত লিকু ও সুশান্ত গ্রুপের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত নিলয় ও অলক গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ৫ আগস্টের পর তা চরম আকার ধারণ করে। এরই জেরে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা রাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত্রা দাস বলেন, দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পাল্টা চলে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ঝ ন ইদহ আওয় ম ল গ ব এনপ ঝ ন ইদহ সমর থ
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু
বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা
রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।
দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “আটক বনদস্যুদের বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডে। এখনো অপহৃতদের পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোস্ট গার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ