Samakal:
2025-03-06@12:33:57 GMT

পাখির নেই কোনো সীমানা

Published: 17th, January 2025 GMT

পাখির নেই কোনো সীমানা

দুটি দেশ যেখানে মিলিত হয়, সেখানে থাকে আন্তঃদেশীয় সীমানা। গবেষণা বলে, এই আন্তঃদেশীয় সীমানাগুলো বন্যপ্রাণী তথা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পৃথিবীর মোট জীববৈচিত্র্যর ৫৭ শতাংশের খোঁজ মেলে এ এলাকাগুলোতে। মানুষের চলাচল কিংবা মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড কম থাকায় এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এ পরিবেশের গুণগত মান জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল হিসেবে খুবই অনুকূল। এ কারণে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আনাগোনা তূলনামূলক বেশি।  ইন্দো-চায়না এবং ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলের মিলনস্থলে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে রয়েছে বন্যপ্রাণীর এক সমৃদ্ধ ভান্ডার; যার মধ্যে রয়েছে সাত শতাধিক প্রজাতির পাখি। এ পাখির মধ্যে ৩৩৭টি প্রজাতি আমাদের দেশের আবাসিক পাখি, ২০৮টি শীতকালীন পরিযায়ী, ১২টি গ্রীষ্ম পরিযায়ী, ১৪টি পান্থ পরিযায়ী এবং ১১৯টি প্রজাতি ভবঘুরে।

বাংলাদেশের স্থল সীমান্তরেখার দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি ৬ শতাংশ মিয়ানমারের সঙ্গে। এই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় রয়েছে অসংখ্য সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে পুরো সীমানাই পাহাড়ি বনে আচ্ছাদিত; যার ফলে বন্যপ্রাণীরা এ এলাকাগুলোকে কেন্দ্র করে বিচরণ করে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতেও। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের এলাকা, হিমালয়কন্যা তেঁতুলিয়া তিন দিক থেকে ভারতীয় সীমানা দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় এখানে রয়েছে অসংখ্য পাখির সমাহার।
সম্প্রতি তেঁতুলিয়ায় পাখির ওপর করা আমাদের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘স্প্রিঙ্গার’ নামক একটি জার্নালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ ফিরোজ জামানের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি হয়। গবেষক হিসেবে ছিলাম আফসানা ইমরোজ আর আমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মো. মাহাবুব আলম ও মো. ফজলে রাব্বি ছিলেন সহ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালানো গবেষণায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৭৪ প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে ১২২টি প্রজাতি স্থানীয়। বাকি ৫২টি শীতকালে অতিথি হয়ে উড়ে আসে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে। এলাকাটিতে সবচেয়ে বেশি দেখা সাত ভাই ছাতারে, বনছাতারে বা ক্যাচক্যাচিয়া। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পাখির মধ্যে আছে– ঘুঘু, ফিঙে, কোকিল, মুনিয়া, খঞ্জন, ছাতিঘুরানি, শ্বেতাক্ষী, কাঠঠোকরা, প্যাঁচা, পানকৌড়ি,  ঈগল, বাজ, গাংচিল,  মাছরাঙা ইত্যাদি। এখানে আমরা বনভূমিকেন্দ্রিক পাখিদেরই তূলনামূলক বেশি দেখা পাই। এ ছাড়া চা বাগানের পরিমাণ বেশি থাকায় এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পাখির। যেমন হলদে চোখ ছাতারে, চুকটি, দামা, শ্যামা, কোয়েল, কাঠঠোকরা।
পুরো বছরকে আমরা তিনটি মৌসুমে ভাগ করে সরাসরি মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করি। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। শীতে এই এলাকা অতিথি পাখির আনাগোনায় পরিণত হয় পাখির স্বর্গে। চাতক, বউকাও, নীললেজ সুইচোর এখানকার গ্রীষ্ম পরিযায়ী পাখি। বিভিন্ন প্রজাতির বুনোহাঁস, সৈকত পাখি, ঘাসবনের পাখি, আশটে দামা, পরিযায়ী গায়ক পাখি এখানকার উল্লেখযোগ্য পরিযায়ী পাখি। এখানে আরও দেখা মেলে লাল ঘার কাস্তেচরার।

এ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে এখানে। এর মধ্যে দেশি গুটি ঈগল, চারটি সংকটাপন্ন প্রজাতির হলদে চোখ ছাতারে, বড় গুটি ঈগল, শেখ ফরিদ, মদনটাক, কালা মাথা কাস্তেচরা অন্যতম। পাশাপাশি এখানে সম্প্রতি দেখা মিলেছে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া সবুজ ময়ূরের। তাহলে বলাই চলে এ এলাকা জীববৈচিত্র্যের জন্য, বিশেষ করে পাখির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, আমরা পাখির পাশাপাশি জলাভূমির সুস্থতার নির্দেশক ফড়িং নিয়েও গবেষণা করি। আমরা মোট ৪৭ প্রজাতির ফড়িংয়ের সন্ধান পাই, যা দেশের মোট ফড়িং প্রজাতির অর্ধেক। পাওয়া যায় কিছু দুর্লভ প্রজাতির ফড়িং।

এ এলাকার বৈচিত্র্যে ঘেরা পাখিদের আবাসস্থল যেমন মানব বসতিকেন্দ্রিক বন, ঝোপঝাড়, নদী, ঝিরি, চা বাগান, জলাভূমি, প্লাবন ভূমি, ফসলের মাঠ, সবুজে ঘেরা অরণ্যের বৈচিত্র্যময়তার কারণে জীববৈচিত্র্য এতটা বেশি সমৃদ্ধ।
তেঁতুলিয়ার পাখিবৈচিত্র্য এবং আমাদের দীর্ঘমেয়াদি  এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে, আমাদের আন্তঃসীমানা এলাকাগুলো জীববৈচিত্র্যে ভীষণ সমৃদ্ধ।  সংরক্ষিত এলাকার বাইরে এ এক পাখির স্বর্গ। তেঁতুলিয়াসহ আন্তঃদেশীয় সীমানায় অবস্থিত এলাকাগুলোতে আমাদের পাখি সংরক্ষণে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া সময়ের দাবি। দরকার বিস্তৃত গবেষণা এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগিতা। v

লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক ও পরিবেশবিদ 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক গ ল এ এল ক পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

১০ সেকেন্ডে কীভাবে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব বুঝতে পারবেন

বিষয়টি ঠিক এত কঠিনও নয়

একটা মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় নিন। এমনকি যদি তিনি স্পষ্টবাদী হন, তাহলে আরও কম সময়েই আপনার যা কিছু জানা প্রয়োজন, জানতে পারবেন।

কে কীভাবে ঘরে প্রবেশ করেন

অনেকে ঘরে ঢোকার সময় এত তাড়াহুড়া করেন যে দেখলে মনে হয়, তাঁরা মনে করছেন, তাঁরা ঘরে ঢুকলেই সবাই হাততালি দিয়ে উঠবে। আবার অনেকে এমনভাবে ঢোকেন, যেন সবার নজর এড়াতে চাইছেন। কেউ কেউ আবার ঘরে ঢুকেই এমনভাবে ঘরটা পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন, যেন তাঁরা খুব উন্নতমানের রোবট, খুব সূক্ষ্মভাবে স্ক্যান করে দেখছেন, কার সঙ্গে একটু কথা বলা যায়। ঘরে ঢোকার ধরনের ওপর ভিত্তি করে মানুষকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—

যাঁরা মনোযোগ চান: তাঁরা খুব বেশি নড়াচড়া করেন। খুব জোরে কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার আগে নাটকীয়ভাবে একটু থামেন। এ ধরনের মানুষেরা বহির্মুখী কিংবা তাঁদের কোনো ব্যাপারে স্বীকৃতি বা মনোযোগ পাওয়ার প্রয়োজন খুব বেশি।

যাঁরা অদৃশ্য হয়ে যেতে চান: তাঁরা এক কোনায় পড়ে থাকেন। ধরতে গেলে কোনো শব্দই করেন না। হয়তো তাঁরা উদ্বিগ্ন থাকেন, হয়তো মানুষজন পছন্দ করেন না।

এই দুইয়ের মাঝামাঝি: এ ধরনের মানুষেরা ভালোভাবেই ঘরের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যান। তাঁদের দেখে মনে হয় না যে তাঁদের কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে। তাঁরা ঘরে উপস্থিত অন্যদের সম্ভাষণ জানান, সরাসরি চোখের দিকে তাকান, কিন্তু তাঁদের আচরণ দেখে মনে হয় না যে তাঁরা কারও মনোযোগ পাওয়ার জন্য খুব বেশি চেষ্টা করছেন। এ ধরনের মানুষ সংখ্যায় সবচেয়ে কম।

আরও পড়ুনআপনিও কি খাওয়ার সময় শব্দ করেন কিংবা খেতে খেতে কথা বলেন২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪যখন কেউ তাঁদের প্রতি মনোযোগ দেয় না, তখন তাঁরা কী করেন

মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলে প্রায় সবাই স্বাভাবিক আচরণ করে। কিন্তু যখন সবার মনোযোগ থাকে না, তখন একটা মানুষ কী করে? এটা খেয়াল করলেই তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়।

কথা শেষ হওয়ামাত্রই কি তারা সব মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে থাকেন?

যখন তাঁদের নিয়ে কোনো কথা হয় না, তখনো কি তাঁরা আলোচনায় মনোযোগ ধরে রাখেন?

যখন অন্য কেউ কথা বলতে শুরু করে, তখন কি তাঁরা বিরক্ত হন?

যাঁরা কেবল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেই নিজেদের জাহির করেন, তাঁদের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যাঁরা শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তাঁদের ক্রমাগত স্বীকৃতি খোঁজার প্রয়োজন হয় না।

কীভাবে তাঁরা আলোচনায় অংশ নেন

আপনি হয়তো কখনো এমন কারও সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, যিনি পুরো আলোচনায় আপনাকে একটি প্রশ্নও করেননি। আবার হয়তো এমন কাউকে পেয়েছেন, যিনি কথার মাঝখানেই আপনাকে বারবার থামিয়ে দিয়ে একা একাই বকবক করে গেছেন। আপনি হয়তো আপনার একটা ছোটখাটো সাফল্যের কথা বললেন; দেখা গেল, তিনি আপনার চেয়েও দ্বিগুণ ভালো কিছু করেছেন! এসব ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখুন।

উপভোগ্য কথোপকথন স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলতে থাকে। শুধু একজনের দ্বারা পুরো আলোচনাটি পরিচালিত হয় না।

অহংকারী মানুষেরা প্রতিটি মিথস্ক্রিয়াকে একক পডকাস্ট পর্বের মতো দেখেন।

ছোট ছোট প্রতিশ্রুতি কি রাখেন

বড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই। ছোট ছোট প্রতিশ্রুতিগুলোর দিকে খেয়াল করুন।

তাঁরা যদি বলেন, ‘আজকে এসএমএস পাঠাব।’ তখন কি সত্যিই পাঠান? কিংবা যখন বলেন, ‘আমি তোমাকে লিংকটা পাঠাব।’ পরে কি আর পাঠান?

যদি বলেন, ‘চলো, একদিন একসঙ্গে কফি খাই।’ এটা কি শুধু ভদ্রতার খাতিরেই বলা? যদি এসব ছোট ছোট কথা দিয়েই তাঁরা কথাগুলো না রাখেন, তাহলে আসল দায়িত্বগুলো তাঁরা কীভাবে পালন করবেন?

যাঁরা বিনিময়ে কিছুই দিতে পারবেন না, এমন মানুষদের সঙ্গে তাঁদের আচরণ কেমন

একটা মানুষের চরিত্র বোঝার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

একটা মানুষ ওয়েটার, ক্যাশিয়ার, দারোয়ান, কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি, এমনকি রাস্তার ভিক্ষুকের সঙ্গেও কেমন আচরণ করেন, তা খেয়াল করুন।

যখন গল্পের আসরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকেন না, তখন তাঁরা কীভাবে কথা বলেন, তা-ও খেয়াল করুন।

যদি কেউ এমন লোকদের সঙ্গে অবজ্ঞাপূর্ণ বা কোনো রাখঢাক ছাড়াই খারাপ আচরণ করেন, যাঁদের কাছ থেকে তাঁর কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই, তাহলে তিনি খুব একটা ভালো মানুষ নন।

আরও পড়ুনযে অভ্যাসগুলো আপনাকে সবার প্রিয় করে তুলতে পারে১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪তাঁরা কি নীরব থাকেন, নাকি রেগে যান

যাঁরা সামান্যতম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলেই রেগে যান, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুব ক্লান্তিকর। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ‘আমি তোমার সঙ্গে একমত হতে পারছি না’—কথাটা শোনামাত্রই এমন আচরণ করতে শুরু করেন যেন আপনি তাঁর বিশাল কোনো ক্ষতি করে ফেলেছেন। আপনি মৃদুভাবে তাঁদের গঠনমূলক সমালোচনা করুন, দেখবেন, পাল্টা তাঁরা আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য আপনাকেই দোষারোপ করতে শুরু করবেন। বলবেন, ‘আপনিই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।’

যদি কেউ ছোটখাটো বিষয়ে সামান্য মতবিরোধই সহ্য করতে না পারে, মেজাজ ঠিক রাখতে পারে না, তাহলে ভেবে দেখুন, আসল সংকটের সময় তাঁরা কী করবেন!

তাঁরা কীভাবে আলোচনা শেষ করেন

আলোচনার ইতি কীভাবে টানা যায়, তা নিয়ে অধিকাংশ মানুষ খুব বেশি ভাবে না। কিন্তু বিষয়টি থেকে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

হঠাৎ করে আলোচনা শেষ করা: তাঁরা হুট করে কথা শুরু করেন, হুট করেই শেষ করেন। কোনো বিদায় সম্ভাষণ পর্যন্ত জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না।

আনাড়ি কথাবার্তা: কেউ কেউ আছেন, কথা বলতে বলতে হঠাৎই তাঁদের মনে হয়, এবার থামা উচিত। তারপর তাঁরা আরও কিছুক্ষণ অর্থহীনভাবেই বকবক করতে থাকেন।

কথা একবার শুরু করলে শেষ করতে না চাওয়া: এ ধরনের মানুষের কথা যেন থামতেই চায় না! তাঁরা আলোচনা অহেতুক প্রলম্বিত করেন।

সুন্দরভাবে আলোচনা শেষ করা: অনেকে স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা শেষ করেন। তাঁদের শেষ কথাগুলো একটি দৃঢ় ছাপ রেখে যায়। যাঁরা সামাজিকভাবে নিজেদের উপস্থিতি নিয়ে সচেতন, তাঁরা এভাবেই প্রতিটি আলাপ শেষ করেন।

অনেক মানুষ ভাবে, তারা নিজেদের আসল স্বভাব লুকাতে পারে, কিন্তু আদতে তা সম্ভব নয়। তাঁদের কথাবার্তা, হাঁটাচলা, তাঁদের কাছে ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের সঙ্গে আচরণ—এসব দেখে ধারণা করা যায় তাঁরা আদতে মানুষ হিসেবে কেমন। এসব লক্ষণ ধরতে পারলে আপনি কম সময়েই একটা মানুষকে চিনতে পারবেন।

সূত্র: মিডিয়াম ডটকম

আরও পড়ুনঅন্যের বাসায় গিয়ে যে ৯টি কাজ করলে আপনি ছোট হবেন০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ