জগন্নাথপুরের নাইয়াদাঁড়া নদী পারাপারে নির্মিত সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৯ বছর। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে একাধিকবার সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হলেও নেওয়া হয়নি উদ্যোগ।
উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের প্রভাকরপুর-নন্দীরগাঁও স্থানীয় সড়কের নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। ২০০০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে এর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পর এ পথে ইউনিয়নের প্রভাকরপুর, নন্দিরগাঁও, মোহাম্মদপুর, ইসলামপুর, হামিদপুর, বনগাঁওসহ ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে।
সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর এক পারের সংযোগ সড়কের সঙ্গে যুক্ত সেতুর একাংশ নদীর খানিকটা ভেতর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে। বাকিটা ভেঙে পড়ে তলিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে নদীর প্রবল স্রোতের ধাক্কায় সেতুটির অধিকাংশ ভেঙে ধসে পড়ে। তখন থেকেই সেতুতে পারাপার বন্ধ রয়েছে। সেতুর অভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয়রা। নতুন সেতু নির্মাণের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। নেওয়া হয়নি জনদুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ।
প্রভাকরপুর গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বক্স জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়কে চলাচলকারীদের ৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টা ব্যয় করতে হচ্ছে দেড় কিলোমিটারের ঘুর পথে।

পাটলী ইউনিয়ন উইমেন্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার জানান, সেতু থাকাকালে ৫ মিনিটে যাওয়া যেত স্কুলে। এখন ৩০ মিনিটের হাঁটা পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছায়াদ মিয়া জানান, ৯ বছর ধরে একটি সড়কে নদীর ওপর থাকা সেতুটি খোঁড়া হয়ে আছে। তা সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ ভুগছেন এ কারণে। ওই সেতু দিয়ে উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদ, রসুলগঞ্জ বাজারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, শিগগির কোনো নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ