Samakal:
2025-01-31@11:55:28 GMT

যে পথ দিয়ে যেতে হয় নাক চেপে

Published: 17th, January 2025 GMT

যে পথ দিয়ে যেতে হয় নাক চেপে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে খলসি এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মোড়, নদীনালাগুলোতে আবর্জনার স্তূপ পড়েছে। উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় গন্ধে নাকাল পথচারীসহ পৌরবাসী। বেড়েছে মশামাছির উপদ্রব।
জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় রাস্তাসহ ডোবানালায়। এতে ভরাট হচ্ছে করতোয়া নদী। রাস্তায় নাক কাপড় দিয়ে ঢেকে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। দুর্গন্ধে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি রাস্তায় পৌরসভার গাড়ি করে ময়লা ফেলার সময় ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি করে ময়লাসহ গাড়ি ফেরত যায়। পরদিন আবারও সেখানে ময়লা ফেলা হয়। 
ছামিউল আলম নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মাঝেমধ্যে ময়লার ভাগাড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পোড়া পলিথিনের দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দায় হয়ে পড়ে। এতে পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়। পৌরবাসী নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে পৌরবাসী। 
পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। নাক বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হয়। পৌরসভায় বারবার অভিযোগ করেও 
সমাধান মেলেনি। 
১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিনুর ইসলাম বলেন, করতোয়া নদীর ধারে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সরু নালায় পরিণত এ নদী যেন ময়লার ভাগাড়। নদী ভরাটের পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য। সেখানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা আবর্জনার সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন নেই। আবর্জনাগুলো কোথাও না কোথাও ফেলতে হবে। ময়লা অন্য কোথাও ফেলা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার ময়লার জন্য বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। আপাতত একটি সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ আছে। কাজ শেষ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রসভ র

এছাড়াও পড়ুন:

দেবীগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লেখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এই লেখা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। তবে, কারা এই স্লোগান লিখেছেন, তা কেউ দেখেননি।

পৌরসভার শহীদ আব্দুল মান্নান সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ চত্বর, নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দেয়ালে লাল, কালো ও নীল রঙের কালি দিয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় শেখ হাসিনা’ এবং ‘শেখ হাসিনা তুমি আস্থা’- এমন স্লোগান লেখা হয়েছে।

এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে আজ দুপুর ১টায় দেবীগঞ্জের বিভিন্ন দেয়ালে লেখা স্লোগানের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাতের আঁধারে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লিখছে তারা। উপজেলা ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সজাগ রয়েছে।"

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‍“গত ৫ আগস্টের পর শুধু দেবীগঞ্জ নয়, পুরো পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেবীগঞ্জ, বোদা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এসব দেওয়াল লিখন লক্ষ্য করা গেলেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। এসব লেখা ’২৪ বিপ্লবের চেতনাকে ম্লান করার চেষ্টা করছে। যা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান- তাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মী) দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের অপতৎপরতা রুখে দিতে পঞ্চগড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।”

দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা মোবাইলে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসছে। এখনি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। বিষয়টি দেখছি আমরা।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ