Risingbd:
2025-03-10@15:03:24 GMT

তিনি ‘কবুতর বাবা’

Published: 17th, January 2025 GMT

তিনি ‘কবুতর বাবা’

‘চাওয়ালা বাবা’, ‘আআইটি বাবা’, ‘মাসকিউলার বাবা’-র পর ভারতের প্রয়াগরাজের পূর্ণকুম্ভে নজর কাড়ছেন আরো এক ‘বাবা’। তাকে নিয়েও চর্চা আর কৌতূহল তুঙ্গে পুণ্যার্থীদের মধ্যে। তিনি হলেন ‘কবুতর বাবা’!

তিনি মহন্ত রাজপুরীজি মহারাজ। তার মাথার উপরে সবসময় একটি সাদা রঙের পায়রা বসে রয়েছে। মাথার জটাতেই ‘বাসা বেঁধেছে’ ওই পায়রা। গত ৯ বছর ধরে এভাবেই রাজপুরীজি মহারাজের মাথায় রয়েছে পায়রাটি। এমনই দাবি খোদ মহন্তের। আর সে কারণেই তিনি ‘কবুতর বাবা’ নামেই পূর্ণকুম্ভে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

‘কবুতর বাবা’ জানিয়েছেন, তার পায়রার নাম হরিপুরী। 

তার কথায়, “আট-ন’বছর ধরে এই পায়রাই আমার সব সময়ের সঙ্গী।”

সবসময় ‘বাবার’ মাথাতেই বসে থাকতে দেখা যায় পায়রাটিকে। দেখে মনে হবে যেন, মাথাতেই বাসা বেঁধেছে ওই পায়রা। ‘বাবা’র মতে, পায়রা প্রেম আর সদ্ভাবের প্রতীক।

কুম্ভ শুরু হতেই বেশ কয়েক জন ‘বাবা’কে ঘিরে কৌতূহল আর উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে ভারতে। তার মধ্যে রয়েছেন ‘চাওয়ালা বাবা’। তিনি অবশ্য চা বিক্রি করেন না। তবে চা-ই তার পেট ভরানোর একমাত্র রসদ। আর সে কারণেই তিনি ‘চাওয়ালা বাবা’ নামে পরিচিত। তার যে বিষয়টি বেশি নজর কাড়ছে তা হল, মেলা চত্বরে বসেই তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে অনলাইনে শিক্ষাদান করছেন।

আরো এক জন হলেন ‘আইআইটি বাবা’। কারণ তিনি পড়াশোনা করেছেন দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে। তার পরে বেছে নিয়েছেন আধ্যাত্মিকতার পথ। এছাড়া রাশিয়া থেকে এসেছেন ৭ ফুট উচ্চতার পেশিবহুল ‘মাসকিউলার বাবা’।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার কোনো বাহিনী নেই সব সময় অভিযান সম্ভব নয়’

রাউজানে অবৈধভাবে কৃষিজমির টপসয়েল (উপরিভাগ) ও পাহাড় কাটা, কৃষিজমি ভরাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংছিং মারমা এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। অংছিং মারমা বলেন, ‘আমার তো কোনো সশস্ত্র বাহিনী নেই, তাই চাইলেও সবসময় অভিযান চালানো যায় না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কদলপুর, হলদিয়া, ডাবুয়া, নোয়াজিষপুর, পশ্চিম গুজরা, পূর্ব গুজরা, নোয়াপাড়া ও রাউজান সদর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষিজমি ও পাহাড় কাটা চলছে। সরকারি খাস খতিয়ানের টিলা কেটে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর-জলাশয়। ডাবুয়া ইউনিয়নের লাঠিছড়ি, পশ্চিম ডাবুয়া, কলমপতি ও কেয়াকদাইর এলাকায় কৃষিজমি সাবাড় বেশি হয়েছে। নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের মিলন মাস্টারের ঘাটা এলাকায় সর্তা খালের পাড় কেটে সেই মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমি ভরাটে। পশ্চিম গুজরা, পূর্ব গুজরা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলছে কৃষিজমি কাটা।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ি ঢল, হালদা নদী ও সর্তার খালের পানির তোড়ে প্রতিবছর বর্ষায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। কৃষিজমি কাটার ফলে জমি নিচু হয়ে যায়, বন্যার পানি আটকে থাকে।  আবার কৃষিজমি ভরাটের কারণে বর্ষায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মীর মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘গোটা উপজেলায় প্রতিযোগিতা করে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। ধ্বংস করা হচ্ছে পাহাড়-টিলা। স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতায় এসব থামানো যাচ্ছে না।’
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিজমি ভরাট করে অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান ধ্বংস হয়। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি কৃষিজমি কমে কমলে খাদ্য উৎপাদনও কমে, যা আমাদের অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই কৃষিজমি কাটা ও ভরাটের আগে সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর এর প্রভাব মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।’
নির্বিচারে কৃষিজমি ও পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা বলেন, ‘এসব বন্ধে সম্মিলিতভাবে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার একার পক্ষে এসব বন্ধ করা সম্ভব নয়। অভিযোগ পেলে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড করা হচ্ছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সশস্ত্র কোনো বাহিনী নেই। এ কারণে সবসময় অভিযানে যাওয়া সম্ভব হয় না। পুলিশ, কৃষি অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করলে সম্মিলিত প্রয়াসে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়। আমি বিচার করতে পারি, কিন্তু জড়িতদের ধরে এনে বিচার করা একজনের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমার কোনো বাহিনী নেই সব সময় অভিযান সম্ভব নয়’