টানা ৮ জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত রংপুর রাইডার্সের
Published: 17th, January 2025 GMT
রংপুর রাইডার্সের জয়রথ ছুটছেই। এবার চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চলতি বিপিএলে টানা অষ্টম জয় তুলে নিলো নুরুল হাসান সোহানের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগংকে ৩৩ রানে হারায় রংপুর। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪ রান করে তারা। জবাবে ১৩১ রানে শেষ হয় চিটাগংয়ের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো ছিল না। বিনুরা ফার্নান্ডো-মারুফ মৃধাদের প্রথম দুই ওভারের সুইংয়ে রীতিমত ঘাম ঝরেছে রংপুরের দুই ওপেনার তৌফিক খান আর স্টিভেন টেলরের। সাইফ ও টেলর জুটি গড়লেও তেমন দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। এর মধ্যে টানা তিন ওভারে সাইফ, টেলর এবং ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারায় রংপুর। রান বাড়াতে খুশদিল শাহ একাই চেষ্টা চালালেন, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
রংপুরের অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পরও খুশদিল তার ঝোড়ো ইনিংস চালিয়ে যান। মারুফ মৃধার পর মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে এক ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা খুশদিল ২৮ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষদিকে শেখ মেহেদী ১২ বলে করেন ১৭ রান। আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৬৪ রানে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম ২৮ রানে আর মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪২ রানে নেন দুটি করে উইকেট।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি কোনো অবস্থাতেই জয়ের দৌড়ে ছিলো না। শামিম হোসেন পাটোয়ারি ছাড়া আর কেউ পারেননি দাপট দেখাতে। যদিও তার ৩১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নদের জয়রথ থামাতে পারেনি চিটাগং।
টানা আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে সবার আগে প্লে-অফে নুরুল হাসান সোহানরা। আর হারলেও ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরেই আছে চিটাগং। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকা বরিশাল আছে ৩ নম্বরে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।