গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চাঁদার জন্য মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ আলামিন রনির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর মৎস্য বাজারে মারধরের ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার আব্দুল আউয়াল অভিযোগ, ছাত্রদলের রনিসহ কয়েকজন এসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে রনিকে ১০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হই। তখন মারধর থামায়। বাজারের লোকজন বিষয়টি দেখেছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রনি বলেন, ‘আউয়াল আওয়ামী লীগের দোসর। আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। চাঁদা নিয়েছি যে, তা প্রমাণ করুক সে।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, আউয়াল আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দলের বদনাম করতে সে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। 

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর র আউয় ল

এছাড়াও পড়ুন:

নাচোলে খাসজমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় খাসজমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত তরিকুল ইসলাম বকুল (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নাচোল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন । 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হন গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা এলাকার মৃত তামিজ উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম বকুল।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার হাজারদীঘী বিলের প্রায় ৬০ বিঘা খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছেন একই উপজেলার চন্দ্রনা গ্রামের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খাসজমি দখল নিতে আসে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকার ২৫-৩০ জন ব্যক্তি। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়ায়। এ ঘটনায় চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই তিনজনের মধ্যে ছিলেন তরিকুল ইসলাম বকুলও।

নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তরিকুল ইসলাম বকুল গুরুতর আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেননি নিহতের স্বজনরা। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ