অনেক অপেক্ষার পর মালয়েশিয়ার পর্দা উঠতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরের। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) উদ্বোধনী দিনেই নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন বাংলাদেশের ম্যাচটি ছাড়াও আরও পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশের ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে চায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৬ দলকে নিয়ে প্রথমবারের মতো নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারো চার গ্রুপে ১৬টি দল অংশ নিবে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড।

গত ডিসেম্বরে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপে রানার্স-আপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেছিল তারা। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আকতার বলেছিলেন, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ সামনে এগোতে চাই। আমাদের দলটা অনেক ভালো। দলের শক্তির জায়গা কোনটি আমরা তা জানি। সুতরাং নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো কিছু হবে আশা করছি।’

নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর ২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।

তাই এবার অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। দলপতি সুমাইয়া বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বা অন্য যে দলই হোক আমরা আমাদের খেলা খেলব। আমরা মনে করি, বরং অস্ট্রেলিয়াই আমাদের ভয় পাবে।’

বিশ্বকাপের আগে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারায় তারা।

এবার চার গ্রুপের প্রতিটি থেকে সেরা তিনটি করে দল সুপার সিক্স পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে দু’ গ্রুপের শীর্ষ দু’টি করে দল সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। ৩১ জানুয়ারি সেমিফাইনাল এবং ২ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ দল: সুমাইয়া আকতার (অধিনায়ক), আফিয়া আসিমা ইরা (সহ-অধিনায়ক), মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আকতার, ফারজানা ইয়াসমিন, আনিসা আকতার সুবহা, সুমাইয়া আকতার সুবর্ণা, নিশিতা আকতার নিশি, লাকি খাতুন, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আকতার ও সাদিয়া ইসলাম।

স্ট্যান্ড বাই: আশরাফি ইয়াসমিন অর্থি, লেকি চাকমা, অরভিন তানি, মেহেরুন নেসা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ