সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় মাদক ও ওষুধ জব্দ
Published: 17th, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকা মূল্যের দুই হাজার পিস ভারতীয় ইয়াবা এবং ওষুধ জব্দ করেছে বিজিবি। তবে, এসময় কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি তারা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, আজ দিনভর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা, বৈকারী, কালিয়ানী, তলুইগাছা, ঝাউডাঙ্গা এবং কলারোয়া উপজেলার মাদরা ও সুলতানপুর সীমান্ত থেকে এসব মাদক ও ওষুধ জব্দ করে বিজিবি।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিদেশি সিগারেট বিক্রি, ২ দোকান মালিককে জরিমানা
‘তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করা জরুরি’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল বলদঘাটা নামক স্থান থেকে এক হাজার পিস ভারতীয় ইয়াবা ও তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কামারবাড়ি নামক স্থান থেকে আরো এক হাজার পিস ভারতীয় ইয়াবা জব্দ করে। এছাড়া সদর উপজেলার ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল দাঁতভাঙ্গা নামক স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করে।
কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কালিয়ানী নামক স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ, ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্প এর আভিযানিক দল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ, কলারোয়া উপজেলার মাদরা বিওপির আভিযানিক দল চাঁন্দা ও শ্মশ্বান নামক স্থান থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ এবং সুলতানপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল পোতাপাড়া নামক স্থান থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করে। জব্দকৃত মাদক ও ওষুধের আনুমানিক বাজার মূল ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্যামেন্ট ইস্যু ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্রে আছে ফিক্সিংও। বেশ কিছু ক্রিকেটার সন্দেহের তালিকায় আছেন এমন সংবাদ মাঝপথ থেকে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম ১০ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তাদের ফিক্সিং সন্দেহে জেরা করা হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিসিবির দূর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) কোনো ক্রিকেটারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করেনি। সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন মোহাম্মদ মিথুন। যিনি এবার চিটাগং কিংসকে দিচ্ছেন নেতৃত্ব।
এমন সংবাদ দেখার পর মিথুন হতভম্ব হয়ে যান। এরপর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিথুন। তাতে কড়াভাবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইনি পথে হাঁটার আভাসও দিয়েছেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক।
আরো পড়ুন:
শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট
বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’
“বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।”
“বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। আমার মানহানি মানে...কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না”
বিপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আইসিসি অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের (আকসু) একজন করে প্রতিনিধি আছেন। চিটাগংয়ের সঙ্গে থাকা সেই প্রতিনিধি মিথুনের কাছে এসে তাকে আইনি পথে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
“উনি (আকসু প্রতিনিধি) এসে আমাকে বলেছে ভাইয়া আমি খুব লজ্জিত অনুভব করছি। আপনি এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। ওনার যদি আমার প্রতি ওতটুকু বিশ্বাস না থাকত তাহলে উনি এ কথা বলতো না। আমার বিশ্বাস তো আমি জানি কী বিশ্বাস আছে। কিন্তু আমাদের দলের সঙ্গে যে প্রতিনিধি দেওয়া আছে ওনারও আমার প্রতি কতটুকু বিশ্বাস উনি নিজেই বলছে আপনার জন্য...আমি কিন্তু উনার কাছে যাইনি, উনি এসেছে আমার কাছে। আমি যদি অপরাধী হই বা আমার মাঝে যদি এমন কিছু উনি দেখে তাহলে অবশ্যই উনি এসে আমাকে এই কথা বলতো না।”
মিথুনের নেতৃত্বে চিটাগং কিংস নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। ব্যাট হাতেও মিথুন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৩২.৩৭ গড়ে চিটাগংয়ের সেরা তিন ব্যাটারের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন তিনি।
ঢাকা/রিয়াদ/সাইফ