বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘দেশ দুর্নীতিমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত ও বৈষম্যমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে। এ লড়াইয়ে দেশের মানুষকে আমরা পাশে চাই। এদেশ হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলের। কাজেই সুন্দর দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস চত্বরে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই, যেখানে ব্যবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদাবাজি করবে না, হুমকি দিবে না, কেউ দখলবাজি করবে না, ঘুষ খাবে না। আর এমন দেশ গড়তে গেলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে। আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তারা এমন বৈষম্যমুক্ত দেশ চাই। আমাদের সন্তানেরা যে স্বপ্ন নিয়ে প্রাণ দিয়েছে, সে স্বপ্ন পূরণে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা কারো কাছে মাথা নত করব না। আমরা কখনো কোনো কারো সাথে আপস করব না।’’

এসময় জেলা জামায়াতের আমির ড.

মীর নুরুল ইসলাম, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবুল হোসাইন, নাটোর শহর আমির রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আফতাব আলীসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে জামায়াতের আমির উপজেলার রাজাপুর বাজার ও ধানাইদহ বাজারে আলাদা পথসভায় বক্তব্য দেন। আগামীকাল শনিবার তিনি রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

ঢাকা/আরিফুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৫ জন আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ রোববার ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ সম্পর্কে বিজিবির ১৬ ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।

আবদুল মান্নান বলেন, আজ ভোরে সীমান্তে টহলের সময় ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, পুশ-ইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ