অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে কাঁটাতার স্থাপন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: ভারত
Published: 17th, January 2025 GMT
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে কাঁটাতার স্থাপন একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ভারত আশা করে, বাংলাদেশ এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রটোকল এবং চুক্তিগুলো সম্মান করবে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে জসওয়াল বলেন, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামের সামনে ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। গত ১৩ জানুয়ারি সাউথ ব্লকে যখন তাকে তলব করা হয়, সেই সময় ভারত স্পষ্ট করে বলেছে- সীমান্তে কাঁটাতারসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভারত দুই সরকারের পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে সমস্ত প্রোটোকল এবং চুক্তি মেনে চলে।
জসওয়াল আরও বলেন, পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা আলো, প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপনসহ সব প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যা সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য বাস্তবিক পদক্ষেপ। তার সংযোজন ভারত আশা করে, বাংলাদেশ পূর্ববর্তী সব চুক্তিকে সম্মান করবে। একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সব অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের থেকে যে দাবি উঠে আসছে সেই বিষয়ে সম্প্রতি ভারতে মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। সেই সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান একাধিকবার জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা একটি ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য রাখি এবং আমরা চাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে উন্নতি লাভ করুক। এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদক ষ প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’