ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী (রিয়াদ চৌধুরী) দলীয়  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জানেন দেশনায়ক তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা হাতে নিয়েছে।

এই ৩১ দফায় মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সর্বোপরি মানুষের সাধারণ জীবন যাপনের ব্যবস্থা করা। স্বাভাবিকভাবে যাতে মানুষ জীবন যাপন করতে পারে, ঝামেলমুক্তভাবে সমাজ ব্যবস্থা চলতে পারে সেটাই হচ্ছে লক্ষ্য। 

সেই লক্ষ্যে আপনারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এমনভাবে মানুষের সাথে মিশবেন, কাজ করবেন যাতে আগামী নির্বাচনে তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে না হয়। যাতে মানুষ এমতেই খুশিমনে বিএনপিকে ভোট দেয়।

তিনি সাবধান করে বলেন, এমন কোন কর্মকান্ড করবেন না যাতে আগামী নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে আমরা বিব্রত বোধ করি। কারণ হচ্ছে, সমাজের বা দলের সকল মানুষ এক রকম না।

অনেকেই ভুলভ্রান্তি করতে পারে। আপনারা চিন্তা করবেন, আজকে থেকে সেই ভুলভ্রান্তি দূর করে আগামীতে মানুষের সেবা করে কিভাবে দলের ভাবমুর্তি উজ্জল করা যায় এবং সাংগঠনিক দক্ষতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বিকালে ফতুল্লা থানাধীন দাপা ব্যাংক কলোনী এলাকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় রিয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, শামীম ওসমান এ এলাকার সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বিগত পনেরো বছরে শুধু ব্যাংক কলোনী নয় দাপা ফতুল্লা এবং ফতুল্লা থানার অর্ন্তগত বিভিন্ন এলাকাতে, সিদ্ধিরগঞ্জেও ব্যাপক হারে মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং, কিশোরগ্যাং বৃদ্ধি পেয়েছিলো। 

যেহেতু এটি দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা তাই আমি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে বলবো এলাকাবাসী ও প্রশাসনের যারা আছেন, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এ সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেবেন।

তিনি বলেন, ৫ তারিখের পরে যেহেতু প্রশাসন এখনও পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারেনি সেজন্য ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় প্রশাসন সাহস করে উঠতে পারে না এ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

তাই আমি এখানকার নেতৃবৃন্দকে বলবো আপনারা এবং এলাকার মরুব্বি যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে প্রশাসনের সহযোগীতায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে। ১৯৯১ সালে আমি ছাত্রদলের এ এলাকার দায়িত্বে ছিলাম। ২০০১ সালে আব্দুল খালেক টিপুও ছিলো আমিও ছিলাম।  আমি কিন্তু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। আমরা কোন সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেনি, আমরা কিশোরগ্যাং তৈরি করেনি, আমরা মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা করেনি। তাই আগামী দিনে বিএনপি নেতকর্মীদের পাশে আপনারা থাকুন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে আপনাদের মঙ্গলের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা আপনারাদের পাশে থাকবে।
বক্তব্য শেষে শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান (শুক্কুর মাহমুদ) ও ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো: আব্দুল খালেক (টিপু)। 

ফতুল্লা থানা তাঁতীদলের সভাপতি হাজী ইউনুস মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মাকসুদের সঞ্চালনায় এবং সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফুর রশিদ ইমনের সার্বিক সহযোগীতায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মুসলিম আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মো: সাগর সিদ্দিকী, মো: জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক মো: মিলন ঢালী, ফতুল্লা থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল আমিন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল বাশার জামান, ফতুল্লা থানা তাঁতীদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেশাদ আহমেদ রাসেল, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা অরুণ, সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন, ফতুল্লা থানা তাঁতীদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মো: মিঠু খাঁন, সহ সভাপতি রুবেল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সৈকত রাজ, আসাদুজ্জামান রিপন, বাহার আলী জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: মিল্লাত, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: শফিকুল ইসলাম, মো: আলমগীর হোসেন, মো: শ্যামল পাঠান, মো: আলাউদ্দিন হাজী প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ত দল র স ব যবস থ র জন য গঠন ক রহম ন আপন র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক জয়লাভ করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ইউএনইএসসিএপির অধীন মর্যাদাবান দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) ও এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের (এপিডিআইএম) গভর্নিং কাউন্সিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

ইউএনইএসসিএপির ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। ভাষণে তিনি সব ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচন ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিবের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। বৈঠকে আইসিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদারসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর আলোচনা করা হয়।

তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি নির্বাচনী বিজয় এ অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন। দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে মূল্যবান সমর্থনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ