এনটিসিবি ভবনের সামনে হামলার ঘটনায় মামলা
Published: 17th, January 2025 GMT
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার’ ওপর হামলার ঘটনায় স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির হামলাকারীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জগদীশ চাকমা বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান। একই সময়ে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন বুধবার সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও এর কর্মসূচি দেয়। সকাল থেকেই ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র ব্যানারে একদল লোক এনসিটিবির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে যান ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা।
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নেয়। তখন দুই পাশ থেকে দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে কিছু লোক সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা দলটির ওপর হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস ট ব ছ ত র জনত এনস ট ব
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে হামলা, আহত ৮
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে শহরের নতুন স্কুল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সেলিম রেজা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান, কৃষি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষের তাহমিদ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ। আহত একজনের নাম জানা যায়নি।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের নতুন স্কুল রোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মেস করে থাকেন তারা। গত রাতে একদল দুর্বৃত্ত সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে মেসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এতে আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, গুরুতর পাঁচ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন
ধামরাইয়ে মাজার ভাঙচুরের ঘটনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
আহত শিক্ষার্থী ইয়াজদানী আলী বলেন, ‘‘গত রাতে মেসে প্রবেশের সময় একদল দুর্বৃত্ত পথ আটকিয়ে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানালে ‘তোরা সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালানো হয়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে মেসে ঢুকলে তারাও মেসে প্রবেশ করে পুনরায় হামলা চালায়।’’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘হামলার ঘটনায় সেলিম রেজা নামের এক ছাত্র মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব