খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন শেখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তেরখাদা থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আজমির মোল্লা। 

মামলায় আজিজুর রহমান আজিয়ার নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তেরখাদা থানার ওসি (তদন্ত) মো: জিল্লাল হোসেন মামলা দায়ের এবং এক আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাচিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম সমির উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি মোল্লা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান কল্লোলসহ এজাহার নামীয় ২৫ জন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারে মামলার বাদী মো.

আজমির মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “মামলার আসামিরা গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলার সাচিয়াদহ বাজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এরপর মোটরসাইকেল যোগে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাতলা বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এসে সাচিয়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য খান গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে মারপিট করে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ