খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 17th, January 2025 GMT
খুলনার তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন শেখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তেরখাদা থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা বিএনপি নেতা মো. আজমির মোল্লা।
মামলায় আজিজুর রহমান আজিয়ার নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তেরখাদা থানার ওসি (তদন্ত) মো: জিল্লাল হোসেন মামলা দায়ের এবং এক আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাচিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম সমির উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি মোল্লা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান কল্লোলসহ এজাহার নামীয় ২৫ জন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে মামলার বাদী মো.
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় ইজারাকৃত গরুর হাটের পাশে জোর পূর্বক বাসানো হয়েছে বিকল্প হাট
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ২৫ বছরের পুরনো ইজারাকৃত গরুর হাটে ব্যাপারীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাজারের পাশে জোর পূর্বক বিকল্প আরেকটি হাট বসিয়ে একদল লোক পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার ১নং হরনী ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া বাজার দক্ষিণ নোয়াখালীর অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কেনাবেচা হয়। জনপ্রিয় এই হাটের ইজারা মূল্য এবার দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকায়।
ইজারাদার অভিযোগ করেছেন, বাজারের আশপাশে পূর্বে কোনো গরুর হাট না থাকলেও হঠাৎ করে একই দিনে বাজারের কাছেই বিকল্প একটি হাট বসানো হয়। ব্যাপারীরা যখন হাতিয়া বাজারে যাওয়ার পথে সূবর্ণচরের ভূঁইয়ার হাট এলাকায় পৌঁছান, তখন একটি দল তাদের জোরপূর্বক গাড়ি থামিয়ে গরু নামিয়ে সেই স্থানেই বিক্রি করতে বাধ্য করে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং ইজারাকৃত বাজারে ব্যাপারীদের উপস্থিতি কমে যায়, ফলে বিপুল রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গরু ব্যাপারী নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়া বাজারে গরু বিক্রি করছি। কিন্তু আজ রাস্তার মধ্যে থামিয়ে অন্য হাটে যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষও ঘটতে পারে।