মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনের কথা বহুবার শোনা গিয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার মেয়েদের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শিগগিরই শুরু হওয়ার পথে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে নারী বিপিএল।

এ বিষয়ে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছেলেদের বিপিএল শেষ হওয়ার পরেই মিরপুরে শুরু হবে মেয়েদের বিপিএল। টুর্নামেন্টে তিনটি দল অংশ নেবে, প্রতিটি দল ১৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটার ও একজন বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারবে। প্রথম পর্বে তিনটি দল দু'বার পরস্পরের বিপক্ষে খেলবে, এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।  

নারী ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এই লিগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী ফাহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা নারী ক্রিকেটের এই প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাই এবং দেখতে চাই, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটি কীভাবে প্রভাব ফেলবে। আশা করছি, এটি নারী ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’  

আজ টুর্নামেন্টটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফাহিম জানান, ‘আমরা উইমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করব, তিনটি দল নিয়ে। বিপিএল শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে। এই লিগের সময়সীমা হবে ৮-৯ দিন।’  

দল কম হওয়ার বিষয়ে ফাহিম বলেন, ‘আমাদের দেশে নারী ক্রিকেটারদের মানসম্পন্ন সংখ্যা খুব বেশি নেই, তাই আপাতত তিনটি দল নিয়ে লিগ শুরু করতে হচ্ছে। তবে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের আগ্রহ এবং যোগ্যতা যাচাই করে দ্রুতই তিন দলের নাম ও মালিকানা চূড়ান্ত করা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল দ র ব প এল হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

গোলাগুলির পর শান্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্ত 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। সোমবার রাতভর তোরখাম সীমান্তে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সোমবার রমজানের প্রথম কর্মদিবসে যখন পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে খাদ্য আমদানি সাধারণত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, সেই দিনটিতেই এই সংঘাত শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা লান্ডি কোটালে পালিয়ে গেছেন।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান সীমান্তরক্ষীরা কোনো সতর্কতা ছাড়াই সরকারি ভবন এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল।

সোমবার তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,  একজন তালেবান যোদ্ধা নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের বাহিনীর সদস্যরাও আহত হয়েছেন।

তোরখাম ক্রসিং হচ্ছে পাকিস্তান এবং স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সীমান্তবর্তী শহরে বসবাসকারী আলী শিনওয়ারি রয়টার্সকে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং সীমান্ত ক্রমাগত বন্ধ থাকার কারণে সীমান্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানুষ খুবই দরিদ্র এবং সীমান্ত সম্পর্কিত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সীমান্ত-এলাকা ফাঁড়ি নির্মাণ নিয়ে বিরোধের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে তোরখাম ক্রসিং বন্ধ রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ