বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ৩১ দফা দিয়েছেন, আর দলের প্রতিষ্ঠাতা দেশের মানুষের জন্য ১৯ দফা দিয়েছিলেন। সেই ১৯ দফারই বর্ধিত হিসেবে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে। যেখানে নাগরিক স্বাধীনতা, মানুষের ভাগ্যোন্নয়নসহ নানা বিষয় রয়েছে। এটি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।”

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, দুপুরের দিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানসহ মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেন।

তমিজ উদ্দিন বলেন, “শহীদ জিয়ার হাত ধরে আমার বিএনপিতে যোগ দেওয়া। প্রথম গ্রাম সরকার প্রধান ছিলাম, ধামরাইয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাচন করেছি, বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এখানে এরশাদের আমলে একবার ও আওয়ামী লীগ আমলে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এখানে গোছানো সবকিছু রয়েছে। এখানে বিএনপি অনেক গোছানো ও শক্তিশালী।” 

তিনি বলেন, “আজ যে জনসভা হয়েছে, একটা ইউনিয়নের সেখানে অন্তত ছয় হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন। ১৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছে, বিএনপিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনও কাজ করছে। আমরা আগামীতে ধামরাইয়ে বিএনপির বিজয় দেখব বলে প্রত্যাশা করি। এজন্য দলের শীর্ষ নেতারা যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, আমরা সেই ডাক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।”

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক, সহসভাপতি রাকিবুল হাসান ফরহাদসহ আরও অনেকে।

এতে যুবদল নেতা মো.

খোকন, ছাত্র দল নেতা সিরাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত’ তাড়া করে খুঁজে বের করবো: মোদি

কাশ্মীরে হামলায় জড়িতদের ‘পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত’ তাড়া করে খুঁজে বের করে শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারতের আত্মায় আঘাত করে তারা ভুল করেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছে, হামলায় অংশ নিয়েছে, তাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা চিন্তাও করতে পারবে না।

গত মঙ্গলবার ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর জেরে গতকাল বুধবার সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি ভারতের প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদি। আজ বিহার রাজ্যের জনসভায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, পর্যটকদের মধ্যে থেকে বাছাই করে হত্যা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ভারতের ইস্যু করা সব ভিসা বাতিল করা হলো। এছাড়াও যেসব পাকিস্তানি ভারতে অবস্থান করছেন তাদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের জনসভায় কাশ্মীরে নিহতদের স্মরণে হাত তুলে প্রার্থনা করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হাজারো জনতা তার সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেন।

হামলাকারীদের পরিচয় বা পাকিস্তানের নামোল্লেখ না করে মোদি বলেন, “আমরা হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ তাড়া করে খুঁজে বের করব।”

তিনি বলেন, এই হামলায় যারাই অংশ নিয়েছে, তারা খুব বড় ভুল করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, যারাই এই হামলার পরিকল্পনা করেছে এবং এতে অংশ নিয়েছে তাদের এমন শাস্তি ভোগ করতে হবে, যা তারা চিন্তুাও করতে পারবে না।

এদিকে হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সর্ব ভারতীয় বৈঠকের আহ্বান করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।

নয়াদিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় সামরিক যুদ্ধের দিকে যেতে পারে দুই দেশ।

গত মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর ওই হামলা হয়। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এ উপত্যকাকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ভারত বলছে, গতকালের এ ঘটনা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।

পর্যটকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইরান, ইতালিসহ অনেক দেশ। হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার

পর্যটকদের ওপর হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে ড. ইউনূস বলেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীরে হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত’ তাড়া করে খুঁজে বের করবো: মোদি