বাংলাদেশের আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এবার বিপিএলের আম্পায়ারিং প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত এই আম্পায়ারের পারিশ্রমিকও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স বিভাগের পরিচালক ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের বিপিএলে প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনার জন্য শরফুদ্দৌলা পাচ্ছেন ২ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।  

চট্টগ্রামে চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে এবারের বিপিএলে আম্পায়ারিং শুরু করেছেন শরফুদ্দৌলা। আসরে তিনি মোট ছয়টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ভারত ও ইংল্যান্ডের আসন্ন সিরিজে দায়িত্ব পালনের কারণে বিপিএলের ফাইনালে তাকে দেখা যাবে না।  

গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শরফুদ্দৌলা দারুণ সুনাম অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যশস্বী জয়সোয়ালের আউটের সাহসী সিদ্ধান্ত তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। গেল বছর তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।  

বিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন শরফুদ্দৌলা। দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তার উপস্থিতি দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে প্রত্যাশাও বেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি বেড়েছে ৬০০ টাকা

পাবনায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি দাম বেড়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর খুচরা বাজারে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পাবনার কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এই তথ্য জানা যায়। সরেজমিনে পাবনার বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকায়।

অন্যদিকে, খুচরা বাজারে বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

আরো পড়ুন:

পেঁয়াজের দামে ক্রেতা খুশি, লোকসানে কৃষক

এক লাফে পেঁয়াজের দাম কমলো কেজিতে ১০ টাকা

এ বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, ‘‘বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নাই। আবার যে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ ছিল, সেটাও শেষ। এ কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে। বাজারে এখন হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যেটা সারা বছর ঘরে রাখা যায়। তাই কমবেশি সবাই পেঁয়াজ কিনে মজুত করছেন। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।’’

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল মমিন বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আজ প্রতিমণ পাইকারি কিনলাম ২০০০ টাকায়। তাহলে কেনা পড়ল ৫০ টাকা কেজি। আমরা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করব। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করা যাবে না।’’

আরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘‘হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে যদি কেজিতে ২০ টাকা বাড়ে তাহলে সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। সিন্ডিকেট চক্র আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা পেঁয়াজ কিনে মজুত করে রাখছে।’’

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, ‘‘পাবনায় এবার পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮০১ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন। মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেড়ে গেছে। যে কারণে দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে ৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এটা স্বাভাবিক দাম। কৃষক অন্তত বাঁচবে। এর চেয়ে বেশি হলে তখন সেটা অস্থিতিশীল হবে। মজুতদার সিন্ডিকেট প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করব।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পেঁয়াজের দাম মনপ্রতি বেড়েছে ৬০০ টাকা