বাংলাদেশের আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এবার বিপিএলের আম্পায়ারিং প্যানেলে যোগ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত এই আম্পায়ারের পারিশ্রমিকও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স বিভাগের পরিচালক ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের বিপিএলে প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনার জন্য শরফুদ্দৌলা পাচ্ছেন ২ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।  

চট্টগ্রামে চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে এবারের বিপিএলে আম্পায়ারিং শুরু করেছেন শরফুদ্দৌলা। আসরে তিনি মোট ছয়টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ভারত ও ইংল্যান্ডের আসন্ন সিরিজে দায়িত্ব পালনের কারণে বিপিএলের ফাইনালে তাকে দেখা যাবে না।  

গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শরফুদ্দৌলা দারুণ সুনাম অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যশস্বী জয়সোয়ালের আউটের সাহসী সিদ্ধান্ত তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। গেল বছর তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়।  

বিপিএলে ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন শরফুদ্দৌলা। দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তার উপস্থিতি দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে প্রত্যাশাও বেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ