ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি প্রত্যাবর্তন চুক্তি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। প্রত্যাশিত পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।

নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এবং সরকারের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত চুক্তিটিতে ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্যতা আনুষ্ঠানিক হবে না।

চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রবিবার প্রথম জিম্মির মুক্তির মাধ্যমে চুক্তি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই যুদ্ধবিরতি সফল হলে হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে লড়াই আপাতত বন্ধ হয়ে যাবে। এই লড়াই গাজার ব্যাপক নগরায়ণকে ধ্বংস করেছে, ৪৬,০০০ এরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং যুদ্ধ পূর্ববর্তী ২৩ লাথ জনসংখ্যার বেশিরভাগকে কয়েকবার বাস্তুচ্যুত করেছে।

ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির তিন পর্যায়ের চুক্তির  প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী (সৈনিক এবং বেসামরিক), শিশু এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রথম ধাপের শেষ নাগাদ কারাগারে আটক ১৯ বছরের কম বয়সী সব ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা নির্ভর করবে মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের উপর। এই সংখ্যা পুরুষ, মহিলা এবং শিশু সহ ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ জন ফিলিস্তিনি হতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইতালি’

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনসহ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতালি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাতে আসন্ন ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফর, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহায়তা; পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী কর্মরত আছেন, যারা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে এবং দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

রাষ্ট্রদূত জানান, সফরকালে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন এবং পুলিশ বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘোষণা, সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে এবং যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের অভিবাসন সংযুক্ত কর্মকর্তা জিউসেপ্পে দি জিওভান্নি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ