সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনে সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের নাম বদল ও সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি পরিবর্তনের প্রস্তাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানায় দল দুটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই সংবিধানের কোনো মূলনীতি বদলানোর নৈতিক অধিকার রাখে না। এই এখতিয়ারও তাদের নেই।  

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব করেছে, তা পরিপূর্ণভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের রাষ্ট্রদর্শনের বিরোধিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে কোনো সংস্কার প্রয়োজন হলে একটি রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার সব রাজনৈতিক পক্ষকে নিয়েই তা করাটা হচ্ছে সর্বোত্তম গণতান্ত্রিক পন্থা।’

জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের নাম ও সংবিধানের কোনো মূলনীতি পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালালে দেশে রাজনৈতিক বিরোধ, বিভক্তি, বিভাজন ও উত্তেজনা তীব্রতর হবে। দেশ দীর্ঘমেয়াদি গভীর রাজনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে নিপতিত হবে।’

বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মীমাংসিত বিষয়গুলোকে অমীমাংসিত করার সব অপপ্রয়াস রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ