সংবিধানের কোনো মূলনীতি বদলানোর নৈতিক অধিকার রাখে না অন্তর্বর্তী সরকার
Published: 17th, January 2025 GMT
সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনে সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের নাম বদল ও সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি পরিবর্তনের প্রস্তাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানায় দল দুটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই সংবিধানের কোনো মূলনীতি বদলানোর নৈতিক অধিকার রাখে না। এই এখতিয়ারও তাদের নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব করেছে, তা পরিপূর্ণভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের রাষ্ট্রদর্শনের বিরোধিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে কোনো সংস্কার প্রয়োজন হলে একটি রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার সব রাজনৈতিক পক্ষকে নিয়েই তা করাটা হচ্ছে সর্বোত্তম গণতান্ত্রিক পন্থা।’
জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের নাম ও সংবিধানের কোনো মূলনীতি পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালালে দেশে রাজনৈতিক বিরোধ, বিভক্তি, বিভাজন ও উত্তেজনা তীব্রতর হবে। দেশ দীর্ঘমেয়াদি গভীর রাজনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার মধ্যে নিপতিত হবে।’
বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মীমাংসিত বিষয়গুলোকে অমীমাংসিত করার সব অপপ্রয়াস রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’