জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে এক পরিবারের তিনজনকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিপুল মিয়া (৪৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) ও মা আসমা বেগমকে (৬৫) সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসক বিপুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তা ও আসমার হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ময়নমসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান আপেলের সঙ্গে চাচাতো ভাই বিপুলের বসতবাড়ির ১৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ। কয়েক দিন আগে বিপুল বসতভিটার দুটি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেন। বাধা দেওয়ার সন্দেহে সরিষাবাড়ী থানায় আপেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এটা জানতে পেরে গতকাল সকালে আপেলের নেতৃত্বে কাটারি, চাপাতি, রামদা নিয়ে বিপুলের বাড়িঘরে হামলা হয়। তারা বিপুল, তাঁর স্ত্রী ও মাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে বিপুলের ডান পা ও ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুক্তার বাঁ পা ও দুই হাতের কবজি, আঙুল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত করে। আসমার ডান হাত ভেঙে গেছে। ঘটনার সময় বিপুল ও মুক্তার সন্তান খেলতে খেলতে বাড়ির দিকে আসছিল। এ সময় বিপুলের ভাইয়ের স্ত্রী আঁখি আক্তার তাকে নিয়ে পালিয়ে যান।

আঁখি আক্তার বলেন, ‘ঘটনার সময় বিপুল ভাইয়ের ছেলে মমিন (১২) বাড়িতে ছিল না। ওই সময় বাইরে থেকে বাড়ির দিকে আসছিল। আমি কিছু বুঝতে না দিয়ে রাস্তা থেকে মমিনকে নিয়ে পালিয়ে যাই। মমিন থাকলে ওকেও মেরে ফেলত ওরা।’

সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ দুই পরিবারের। এর জের  ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কয়েকটি দল কাজ করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আপেলের মা আনোয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জখম ক প য় জখম সময় ব

এছাড়াও পড়ুন:

মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩

মুসলিমদের পবিত্র ভূমি মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় রংপুরে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার তারাগঞ্জ থানায় ছয়জনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর। বাকি দুজন কিশোর—একজনের বয়স ১৬ ও অন্যজনের ১৭ বছর।

পুলিশ ও মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার হিন্দুধর্মাবলম্বী এক কিশোর মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে। ওই ভিডিওতে কিশোরসহ ছয়জন ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বামনদীঘি এলাকায় অবরোধ করে ওই কিশোরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনমদিনা শহরকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা২২ ঘণ্টা আগে

এ ঘটনার পর লিমন নামের এক যুবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ। দিবাগত রাত দুইটার দিকে তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কনক রঞ্জনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে পোস্টাদাতা কিশোরসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩