বন্দরে চাঁদাবাজ রনীগং’দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
Published: 17th, January 2025 GMT
বন্দরে চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী রনীগং এর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ও তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৪ গ্রামের শত শত নারী পুরুষ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা বড় জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১নং মাধবপাশা বড় জামে মসজিদ কমিটির অর্থ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ১নং মাধবপাশা বড় জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনজীবী সহকারি আব্বাস মিয়া, সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা সুমন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান, সমাজ সেবক মনির মিয়া, কফিল উদ্দিন ও জামান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ১নং মাধবপাশা এলাকার চিহিৃত মাদক সম্রাট সইল্লা মিয়ার ছেলে কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজ রনী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উল্লেখিত এলাকার শান্তি প্রিয় সাধারন জনগন।
রনীগং এর মাদক ব্যবসার কারনে এলাকায় চুরি ছিনতাইসহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী রনীগংদের গ্রেপ্তার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক হাজী আলাউদ্দিন, হাজী বাহাউদ্দিন, হাজী মহিউদ্দিন, অখিল উদ্দিন,আসলাম, হানিফ, জনী, মান্নান, হাশেম, বাবুল, আনোয়ার, নান্নু মিয়া, সামাদ, মাসুদ, রোমান, শিশির, নাঈম, সানিসহ ১নং মাধবপাশা, কান্দিপাড়া, ঘারমোড়া ও সেনাপাড়া এলাকার শতশত নারী পুরুষ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম ধবপ শ
এছাড়াও পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, জবির রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ আলী, তামান্না তাবাসসুম ও আবুল বাসার। অপরদিকে, হামলার নেতৃত্ব দেওয়া অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী অনিক কুমার দাশ মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মার্কেটিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী জুতা পায়ে উঠলে রসায়ন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী তার প্রতিবাদ করে। এতে তাদের ওপর হামলা চালায় মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এ হামলার নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রদল কর্মী ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাশ। এতে আরো যুক্ত ছিলেন, মাহফুজুর রহমান চৌধুরী মাহী, আয়ান, আরিফ, রাতুল, আসিফসহ আরো ১৫ জন।
এ হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা আর কোন দমন-পীড়ন বরদাস্ত করব না। আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগের হামলাগুলোর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে হত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করুক। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
রসায়ন বিভাগের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ২০২০ -২০২১ সেশনের তামান্না তাবাসসুম বলেন, “আমরা প্রক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের কোন সহযোগিতা করেনি। আমরা তাহলে কার কাছে যাব? আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, “গতকালের ঘটনার পর আমরা প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাদের বলেন, ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়ার জন্য। এ বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ নেবে, সে ব্যাপারে তিনি আমাদের কিছু জানাতে পারেননি। বরং আমাদের বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। যদি এ ঘটনায় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা প্রশাসন ও যে দলের প্রশ্রয়ে এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেই সঙ্গে আমরা ক্লাস বর্জনের ডাক দেব।”
আব্দুল কাহহার জামিল বলেন, “গতকালের ঘটনায় প্রক্টর স্যার আমাদের কোন খোঁজ নেননি। রাত ১০টার পর একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠান। তিনি চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দেন। কিন্তু প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। গত ১ বছরে আামদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা তিনটি হামলার অভিযোগ করলেও সুষ্ঠু বিচার পাননি। যদি ওই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হত, তাহলে আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে হত না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
তিনি বলেন, “বিচারের নামে টালবাহানা করা হয়। আমাদের প্রক্টর অফিস থেকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের নানা হুমকি দিয়ে ভয় দেখনো হয়। বলা হয়, যদি ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ হামলা করে, তাহলে সে দায় প্রক্টর অফিস নেবে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “সবকিছুর জন্য সময় দরকার। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিচার চাচ্ছে, সেটা এত দ্রুত সম্ভব না। আগের একটা কমিটি আছে, সে কমিটির কাছেই আমি এটার তদন্ত হস্তান্তর করেছি।”
তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাদের ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়তে বলেছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল ভর্তি পরীক্ষা আছে। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছি।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী