চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এসময় মেয়েকে রক্ষা করতে এসে ছুরিকাঘাতে মাও মারাত্মক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৭) ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে ও আহত পারভীন আক্তার (৩৮) তার স্ত্রী।

অভিযুক্ত স্বামী শওকত হাসান মেহেদী (২৬) চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজম উল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (২২)।

নিহতের বাবা আবদুল হামিদ জানান, গেল ৮ মাস আগে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে তার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে খবর দিলে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার মেহেদি তার বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে মেয়ের বাবা ও মা বাধা দেন। আত্মীয়স্বজন নিয়ে আসলে শ্বশুরবাড়িতে যেতে দেবে এমনটা বলার পর স্বামী মেহেদি চলে যান। পরে দুপুরে জুমার নামাজ চলাকালীন মেহেদি পুনরায় বাড়িতে এসে তার মেয়ে তুহি ও তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। জুমার নামাজ শেষে এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে তুহিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

পরে মারাত্মক আহত তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনজুর কাদের ভুইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে অভিযানে রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।

তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ