খালেদের মায়ের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন
Published: 17th, January 2025 GMT
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদের মা মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিপিএলের এই আসরে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলছেন এই পেসার। বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর খালেদের মায়ের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে চিটাগং কিংস।
বাংলাদেশের পেসারের মায়ের মৃত্যুতে রংপুর রাইডার্স ও চিটাগংয়ের ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। যেখানে দুই দলের ক্রিকেটারের পাশপাপাশি, কোচিং স্টাফ, সাপোর্ট স্টাফ এবং ম্যাচ অফিসিয়ালসরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে খালেদের মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে লেখা হয়, ‘জাতীয় দলের পেস বোলার সৈয়দ খালেদ আহমেদের মা রাইমা বেগমের মৃ'ত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাইমা বেগম। তিনি ৬২ বছর বয়সী ছিলেন।’
শোক প্রকাশ করে আরো লেখা হয়, ‘বিসিবি সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও গভীর সমবেদনা জানায়।’
উল্লেখ্য, এবারের বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে অসাধারণ খেলছেন খালেদ আহমেদ। ৫ ম্যাচে ৭.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল খ ল দ আহম দ খ ল দ আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই
আর্জেন্টিনার ইতিহাসখ্যাত গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি আর নেই। স্থানীয় সময় রবিবার (২০ এপ্রিল) ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গাত্তি। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতির বদলে নতুন করে দেখা দেয় নিউমোনিয়া, কিডনি জটিলতা ও হৃদরোগ। এসব জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
‘এল লোকো’ নামে পরিচিত গাত্তি ছিলেন একেবারে আলাদা ঘরানার গোলরক্ষক। সাহসী, উদ্ভট এবং অনেক সময় অপ্রচলিত কৌশলে খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগে সর্বোচ্চ ৭৬৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আজও তার দখলে। ২৬ বছরের দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারে (১৯৬২–১৯৮৮) তিনি বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মধ্যে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৭ সালে জিতেছেন কোপা লিবার্তাদোরেস।
আরো পড়ুন:
হামজা ও শমিতের পর লাল-সবুজের জার্সি পরতে যাচ্ছেন সান্ডারল্যান্ডের মিচেল
বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ
অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, আজকের ‘সুইপার কিপার’ কনসেপ্ট— যেখানে গোলরক্ষক গোলপোস্ট ছেড়ে খেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন— এর শুরুটা গাত্তির হাত ধরেই হয়েছিল। তার সেই সময়ের সাহসী খেলার ধরণ আধুনিক ফুটবলের জন্য ছিল এক নতুন ধারা।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা জয়ের দলে মূল গোলরক্ষক হিসেবে তার জায়গা নিশ্চিত থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
গাত্তি ছিলেন শুধু একজন ফুটবলার নন— তিনি ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। একবার তিনি দিয়েগো মারাডোনাকে ঠাট্টা করে 'গর্ডিতো' (মোটা) বলেন। এর জবাবে পরের ম্যাচে মারাডোনা তার বিপক্ষে চারটি গোল করে দেন। এমন অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন গাত্তি, যা তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।
তার মৃত্যুতে বিশ্ব ফুটবল হারিয়েছে এক সাহসী, বৈচিত্র্যময় ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে, যিনি যুগ গড়েছেন নিজের মতো করে।
ঢাকা/আমিনুল