রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ট্যানারি গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে। ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের দাবি, ভবনটিতে দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে.

কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বিষয়গুলো জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, “ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এর আগে ভবনটিকে কয়েক দফা নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে, সেই নোটিশের তোয়াক্কা করেনি মালিকপক্ষ।”

আরো পড়ুন:

চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানাল ফায়ার সার্ভিস

ফায়ার ফাইটার রাসেলের জন্য মায়ের আহাজারি থামছে না

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, “আমাদের সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।”

এর আগে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান। সাততলা একটি ভবনের চতুর্থ তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি অংশ নিয়েছিল।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খসে পড়ছে ছাদ-পলেস্তারা সেবা নিতে দাঁড়াতেও ভয়

ভবনের পলেস্তারা ও ছাদের অংশ প্রায়ই খসে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। জানালার গ্লাসও ভেঙে গেছে। এমন জরাজীর্ণ অবস্থা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রধান ডাকঘরের। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডাকঘরটি বেহাল হওয়ার কারণে পুরোনো অনেক নথি বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। 
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হয়। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অথচ ডাকঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এখান থেকে নিয়মিত রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। 
বেলকা ডাকঘরের পিয়ন মোস্তাফা মিয়ার ভাষ্য, সুন্দরগঞ্জের ডাকঘরটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সব শাখা ডাকঘরের পিয়ন প্রতিদিন চিঠিপত্র আনা-নেওয়ার জন্য এখানে যাতায়াত করেন। ভবনটির ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের অধীনে ১২টি শাখা ডাকঘর আছে। আধুনিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকায় এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি আদান-প্রদান হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার খাতাপত্র এবং সরকারি দপ্তরের চিঠি ডাকযোগে আদান-প্রদান হচ্ছে। এ ছাড়া রেভিনিউ স্টাম্প সংগ্রহ করতে হয় এখান থেকে।
এসব সেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও উপজেলার প্রধান ডাকঘরটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলে মন্তব্য করেন দহবন্দ ইউনিয়নের মাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেবা নিতে দাঁড়িয়ে থাকতে ভয় লাগে। 
সুন্দরগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার নুরুল হুদা বলেন, ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। কাগজ সংরক্ষণ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  
বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান জেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার বিল্পব কুমার দাস। তিনি বলেন, ভবনটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খসে পড়ছে ছাদ-পলেস্তারা সেবা নিতে দাঁড়াতেও ভয়