‘ট্যানারি গুদামের ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না’
Published: 17th, January 2025 GMT
রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ট্যানারি গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে। ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের দাবি, ভবনটিতে দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) লে.
তাজুল ইসলাম বলেন, “ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এর আগে ভবনটিকে কয়েক দফা নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। তবে, সেই নোটিশের তোয়াক্কা করেনি মালিকপক্ষ।”
আরো পড়ুন:
চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানাল ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার ফাইটার রাসেলের জন্য মায়ের আহাজারি থামছে না
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, “আমাদের সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। পানির সংকট, ভেতরে দাহ্য বস্তু, উৎসুক জনতার ভিড় ও সরু রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কাজে লাগানো যায়নি।”
এর আগে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা ইসলাম জানান, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান। সাততলা একটি ভবনের চতুর্থ তলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি অংশ নিয়েছিল।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে চারজনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোনের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভবনটিতে আগুন লাগার পর হোটেলে থাকা চারজন ভয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ছাদে থাকা চিলেকোঠার দরজাটি বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ধোঁয়ায় তারা মারা যান।
কাজী নজমুজ্জামান বলেন, আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসে দেখলাম আগুন লাগা ভবনটি ছয়তলা। নিচতলা হার্ডওয়্যারের দোকান, দ্বিতীয়তলায় বিউটি পার্লারের দোকান, তৃতীয় তলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন। দুই তলায় প্রচণ্ড আগুন এবং ধোঁয়া ছিল। ঘটনাস্থলে মোট চারটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করে। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, আগুনের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। মালিক কর্তৃপক্ষের কাউকে আমরা পাইনি। কমিটি গঠনের পর তদন্ত করে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের এই সহকারী পরিচালক বলেন, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়নি। ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সিঁড়িগুলো ছিল সরু। সিঁড়ির পাশে যে জানালা ছিল সেগুলো কাচ দিয়ে বন্ধ করা ছিল। কাচ দিয়ে বন্ধ না থাকলে ধোঁয়া বের হয়ে আসতে পারতো।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখা জানায়, গুলশানের শাহজাদপুরের সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের ছয়তলা ভবনের দোতালায় দুপুর সোয়া ১২টার আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। দুপুর ১টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ছয়তলার একটি বাথরুমের ভেতরে একজনের এবং সিঁড়ির গোড়ায় তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।