চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলছে বিপিএল-এর চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচ। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ছুটির দিনেই ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। 

এদিন দুপুরের পর থেকেই স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে দর্শকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট যারা পেয়েছেন তাদের উপস্থিতিতে ভরে গেছে দর্শক গ্যালারি, আবার টিকিট না পেয়ে স্টেডিয়ামের বাইরেও ভিড় করছে অসংখ্য দর্শক। টিকিট কাটতে কাউন্টারেও দেখা গেছে দীর্ঘ সারি।

দুপুর দুইটায় মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও সিলেট। ম্যাচ শুরু থেকেই দর্শকদের ভিড় বাড়তে থাকে স্টেডিয়ামের ভেতরে- বাইরে। ২০০ টাকা দামের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় দর্শকদের ক্ষোভ দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রিকেটপ্রেমি দর্শকরা টিকিট না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হন। স্টেডিয়ামের বাইরে তৃতীয় লিঙ্গের অনেককেই বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

২০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার সাগর পাড়ের জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্টেডিয়াম গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যায় দর্শকে। দিনের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হবে চিটাগং কিংস ও রংপুর রাইডার্স।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ