ফতুল্লায় সাদপন্থীদের মার্কাজ স্থাপন বন্ধ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
Published: 17th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হাজীগঞ্জ নতুন সড়ক সংলগ্ন মার্কাজ স্থাপন বন্ধ করা এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীবৃন্দ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বাদ জুম্মা হাজীগঞ্জ এলাকায় ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীবৃন্দের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা ও তাবলীগের সাথীবৃন্দ সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
এ সময় প্রধান অতিথি মাওলানা আব্দুল আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জে ডিসি এসপি দুইজনই নতুন এসেছেন। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জের ম্যান্ডেট বুঝতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের তৌহিদী জনতা কোনদিন অন্যায়কারীদের ছাড় দেয়নি ভবিষ্যতেও দিবেনা। এখানে কোন ধরনের আস্তানা করার চেষ্টা করলে মাটিসহ উৎখাত করে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, টঙ্গীর ময়দানে সাদপন্থীদের ইজতেমা হতে দেয়া হবেনা। তাদের ইজতেমা অনুমতি দিলে সেটা প্রতিহত করতে সারাদেশের লাখো তৌহিদী জনতা কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে লং মার্চ করবে।
বর্তমান সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাদপন্থীরা যোগসাজশ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, সাদপন্থীদের এই আস্তানা দেশ, জাতি এবং ইসলামের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের আতুর ঘর। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের কোন আস্তানা গেরে বসতে দিব না।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন- মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতী হারুনুর রশিদ, মুফতী জাকির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, হাজীগঞ্জ এলাকায় কয়েকশ’ ফুটের মধ্যে ৩ টি মসজিদ থাকলেও সাদপন্থীরা সেখানে ফিতনা ছড়ানোর জন্য মার্কাজ নির্মাণের পায়তারা করছে। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী।
সাদপন্থীরা রাতের আধারে নিরীহ ওলামা মাশায়েখ ও তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা করে খুন করেছে। খুনী সাদপন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। সাদপন্থীরা ভারতের দালালী করে। সাদপন্থীদের হাজীগঞ্জ এলাকায় কোন অবস্থাতেই মার্কাজ করতে দেয়া হবেনা বলে বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা মাহমুদ, মাওলানা ফেরদৌস রহমান, মাওলানা মীর আহমদ উল্লাহ ফুয়াদ, মাওলানা মাহবুব মাওলানা জুবায়ের, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সানাউল্লাহ, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম, আলহাজ্ব রাজু আহমেদ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আলহ জ ব
এছাড়াও পড়ুন:
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার
ইন্দুরকানীর নিখোঁজ কিশোর সাব্বির হোসেনকে ছয় দিন পর ঢাকার নারায়ণগঞ্জের এক রিকশাচালকের বাসায় পাওয়া গেছে। তিন দিন আগে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন ওই রিকশাচালক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে আটো গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় অটোতে থাকা অজ্ঞান পার্টির লোকজন তাকে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গভীর রাতে সাব্বিরকে পরে থাকতে দেখে রিকশাচালক আব্দুর জব্বার তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে যায়। তিন দিন পর তার জ্ঞান ফেরে। শনিবার বিকেলে সাব্বির ফোন করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।
সাব্বিরের বাবা জলিল শেখ বলেন, ছেলের খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। খুব চিন্তায় ছিলাম। তাকে অজ্ঞান পার্টি ধরেছিল। এক রিকশাচালক ভাই তাকে উদ্ধার করেছে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, নিখোঁজ সাব্বিরকে ঢাকায় পাওয়া গেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।