ফিটনেস ট্রেইনার শিমুর সঙ্গে সোহেল তাজের বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে এলো
Published: 17th, January 2025 GMT
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমদ সোহেল তাজ আবারও বিয়ে করেছেন। বেশ কয়েকদিন আগে রাজধানীতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজ সম্প্রতি বাগদান সম্পন্ন করেন।
ধানমন্ডিতে নিজের ফিটনেস সেন্টার ইন্সপায়ারে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে তাঁরই ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন সোহেল তাজ।
সে সময় বাগদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোহেল তাজের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাউছার জানিয়েছিলেন, ‘আমিও বাগদানের সময় উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সোহেল তাজের ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ তাজ, ছেলের বউ, নাতিসহ বন্ধু ও ফিটনেস সেন্টারের সবাই উপস্থিত ছিলেন।’
বাগদানের সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরালও হয়। এবার প্রকাশ্যে এলো তাদের বিয়ের ফটোশুটের ছবি। ছবিগুলো প্রকাশ করেছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান ড্রিম ওয়েভার। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও প্রধান ফটোগ্রাফার মো.
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিমু মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোহেল তাজের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়অ।
২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সোহেল তাজ। কয়েক বছর ধরে ফিটনেসের প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগী। সেসবের ছবি এবং ভিডিও প্রায়ই পোস্ট করেন ফেসবুকে। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমালোচনামূলক বিভিন্ন বক্তব্য ও সংবাদ শেয়ার করছেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’