বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১০০ শিক্ষার্থীকে যৌথভাবে বৃত্তি দেবে ‘সন্তান ও অভিভাবক ফোরাম (এসওএফ)’, ‘বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)’ এবং ‘কোয়ালিটি লাইফ ফাউন্ডেশন (কিউএলএফ)’। পাশাপাশি আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে বিপিএ। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অনেকেই হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন। কেউ চোখ হারিয়েছেন। একদিকে যেমন সীমিত জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, অন্যদিকে তাদের শিক্ষা কিংবা কর্মজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে যৌথভাবে ১০০ জনের মাঝে বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ জনকে শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে বাকি ৭০ জনকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।

আন্দোলনে নিহত ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, প্রতি মাসের ১৮ তারিখ আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। এ তারিখ আসলেই হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। শনিবার আমার সন্তানের মৃত্যুর ছয় মাস পূর্ণ হবে। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। 

নিহত আহনাফের মা সাফাত সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার সন্তান হত্যার বিচার চাওয়ায় ‘বেশি কথা বলেন’ বলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আইন উপদেষ্টা। ‘আমি যখন আইন উপদেষ্টাকে বললাম, ‘আমার সন্তান হত্যার খুনিরা এখনও বাইরে। তারা কার মদদে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা কীভাবে এখনও দেশের বাইরে যাচ্ছে এসব কি দেখেন না।’ তখন আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব আমার দায়িত্ব না, এসবের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। আমার কাছে এসবের জন্য আসেন কেন, এসবের জন্য আমাকে বলবেন না।’ 

জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিপিএর সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন) তহমিনা আক্তার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহনা আক্তার, এসওএফের অন্যতম সমন্বয়ক ডা.

দলিদুর রহমান ও ডা. ইশরাত জাহান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন আইন উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব। 

পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
  • ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা
  • ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের
  • বাংলাদেশকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
  • লেনিন কেন এখনও জরুরি
  • মিয়ানমার জান্তার মরিয়া চেষ্টা
  • হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম