দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৯টি কেন্দ্রের ৫৩টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ শিক্ষার্থী। রোববার অথবা সোমবার এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন সমকালকে বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফল তৈরির কাজ এরমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী রোববার অথবা সোমবার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমঅ্যান্ডডিসি) ভর্তি নীতিমালা অনুসারে, দেশের সব সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং সন্তানদের-সন্তানাদির ৫ শতাংশ কোটা এবং মোট আসনের ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

এ দিন সকালে রাজধানীর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল কলেজে আসন বৃদ্ধি নয়, বরং সক্ষমতা বাড়াতে আরও শিক্ষক নিয়োগের ভাবনা রয়েছে সরকারের। প্রয়োজনে কলেজগুলোকে সমন্বয় করা হবে।

এ বছর এমবিবিএস ভর্তিতে আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। সেই হিসাবে একটি আসনের পরিবর্তে ২৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি ৬৭টি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৩টি আসন রয়েছে।
মূল্যায়ন হবে ২০০ নম্বরে 

এত দিন এইচএসসির ফলাফলে ১২৫ নম্বর ও এসএসসির ৭৫ নম্বরের সঙ্গে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ– এই ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হতো। তবে এবার এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে সমান ৫০ নম্বর ধরা হয়েছে। সেই হিসাবে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব সরক র ল কল জ পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়নি ঢাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা

রাজধানীর সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ঘোষণা দিয়েছে, এটা আমার সঙ্গে আলোচনা করে তো দেয়নি। তাদেরকে (সাত কলেজে) এ বছর থেকেই ভর্তি করা হবে না, এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। নিজেদের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি এ বছরই বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তার জন্য সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ইনোভেশন ডায়ালগ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চলতি শিক্ষাবর্ষে এসব কলেজে ভর্তি আহ্বান করা হবে কি না– এ প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমার একার মাথায় তো এই বুদ্ধি এখন আসবে না। এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণার মধ্যে ইউজিসির মাধ্যমে সাত কলেজে ভর্তি নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইউজিসি তো বিশ্ববিদ্যালয় না, ইউজিসির ভর্তি করার কোনো ক্ষমতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় হতে গেলে সনদপ্রাপ্ত হতে হয়, এর আগে ভর্তি করানো সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে তো অনেক বিচার বিশ্লেষণ করতে হয়, এগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আছে। সাধারণ বিশ্বিবদ্যালয়ে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা থাকে না। এগুলোর শিক্ষকরা বিসিএস ক্যাডারের। কাজেই অনেকগুলো মডেল বিবেচনায় আছে। এ নিয়ে বড় কমিটি হয়েছে, যেটা ইউজিসির নেতৃত্বে হয়েছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, এই কলেজগুলোকে সমন্বিত করে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করলে গেলে, এটা তো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে নকল করে হবে না। নতুন মডেল তৈরি করতে হবে, সেটার কাজ চলছে। আইনগত বিষয় আছে, বিধিবিধান আছে- সেগুলো তৈরি করতে হয়। তারপর সনদ নিতে হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল বলেও জানান শিক্ষা উপদেষ্টা। 

তিনি আরও বলেন, এই সমস্যা আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, এখন যে অচলাবস্থা- এটার নিরসন কী করে হবে, এটা একা আমার মাথায় ঢুকবে না। আবার আলোচনা করব সব পক্ষের সাথে। শিক্ষার্থীদের তো অবহেলা করতে পারি না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার
  • ‘আমার মতো দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই’
  • সাত কলেজে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়নি ঢাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়নি ঢাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা