কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় ভেড়ামারা-প্রাগপুর রোডের হাওয়াখালি নামক জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুইজন হলেন- দৌলতপুরের বাহিরমাদী এলাকার গোলাম নবীর ছেলে রজব সরকার ও একই এলাকার মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাগলের বেপারী পাবনা কাশীনাথপুর এলাকার জহুরুল ও ঈশ্বরদীর শেখ পাড়ার মিন্টু দৌলতপুর থেকে ভেড়ামারায় আসছিলেন। ভেড়ামারার হাওয়া খালি এলাকায় রজব সরকার ও দুর্জয় তাদের পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে। অবৈধ মাল আছে দাবি করে তারা এ সময় ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে দুইজনকে বেঁধে রাখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে রজব সরকারের থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও দুর্জয়ের থেকে একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করে। পরে তাদের আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী জহুরুল জানান, হাওয়াখালি এলাকায় আমাদেরকে দুজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে থামতে বলে। এরপর আমাদের পকেট চেক করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা চিৎকার দিলে, স্থানীয়রা এসে তাদের বেঁধে রাখে। আমরা পালিয়ে আসি।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি, তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।