তরুণ প্রজন্মকে পড়ালেখায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে: মির্জা ফখরুল
Published: 17th, January 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “তরুণ প্রজন্ম এখন অনেক বেশি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং অনেক বেশি তারা জানে। এই জানার কোনো শেষ নাই। এ কারণে তরুণ প্রজন্মকে পড়ালেখার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।”
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি অভিজাত রিসোর্টে ঢাকা কলেজের রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা কলেজ নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ঢাকা কলেজে পড়ালেখা করেছি। ১৯৬৩-৬৫ ব্যাচের পড়াকালীন ঢাকা কলেজের অনেক বন্ধুদের আজকে এখানে পেয়েছি। তখনকার সময় আর এখনকার সময়ের অনেক পার্থক্য। চিন্তা, ভাবনা, প্রযুক্তি এবং জেনারেশনের বিরাট পার্থক্য।”
আরো পড়ুন:
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অনেকটা বেটার’: ফখরুল
বিএনপি মনে করে, চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন ‘অত্যন্ত জরুরি’
তিনি বলেন, “ঢাকা কলেজের ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত। সেই কলেজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, দেখেছি। ঢাকা কলেজ থেকেই ছাত্র রাজনীতির ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে ছাত্র জীবনে। সব মিলিয়ে ঢাকা কলেজের জীবন আনন্দময় ছিল।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও রিইউনিয়ন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ কল জ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ