বগুড়ায় বিদেশি পিস্তল, তাজা গুলি এবং ধারালো অস্ত্রসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বগুড়া শহরের রহমাননগরসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় বগুড়া সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার। 

গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন—বগুড়া শহরের রহমাননগর জিলাদারপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মো.

জিহাদ, মালগ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত রাঘুর ছেলে মো. রাসু, ইসলামপুর হরিগাড়ীর চান মিয়ার ছেলে আরিফ আহমেদ কবির এবং সূত্রাপুরের সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াদ। 

সুমন রঞ্জন সরকার বলেছেন, “বগুড়া সদর থানায় গত ৭ জানুয়ারি দায়ের করা ছিনতাই মামলার আসামি জিহাদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রহমাননগরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এ সময় টেডি বিয়ারে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এছাড়াও তিনটি তাজা গুলি ও একাধিক ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়। পরে জিহাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “ওই চার জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে পৃথক মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরাধী চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হবে।”

ঢাকা/এনাম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ