চীনে গত তিন বছর ধরে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে  এ তথ্য জানিয়েছে।

এক সময় ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’ নামে পরিচিত ছিল চীন। তবেক ২০২২ সাল থেকে দেশটিতে জনসংখ্যা হ্রাসের ধারা শুরু হয়।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ দিকে চীনে জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৮০ লাখ। ২০২৩ সালের একই সময় দেশটির মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪১ কোটি। এক বছরের ব্যবধানে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে ২০ লাখ। এই হ্রাসের হার অবশ্য ২০২২ সালের তুলনায় কম। ওই বছর চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০ সালে চীনে ‘এক শিশুনীতি’ প্রণয়ন করেছিল ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। তবে ২০০০ সালের পর থেকে দেশটিতে জন্মহার কমতে থাকায় ২০১৬ সালে এ নীতি বাতিল করে বেইজিং। দেশটিতে ২০২১ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘তিন সন্তান নীতি’।
তবে এই নীতি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি, বরং নিম্ন জন্মহার অব্যাহত থাকায় ২০২২ সাল থেকে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আকার। ২০২৩ সালের শেষ দিকে যেখানে চীনে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের সংখ্যা ছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ, সেখানে ২০২৪ সালের শেষ দিকে এই বয়সীদের মোট সংখ্যা ৩১ কোটি।  

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনস খ য

এছাড়াও পড়ুন:

‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন’ প্রতিবেদন প্রকাশ

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ২০২৪’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের (এএ) সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

এ প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিবরণ আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে অর্থায়ন ও কাভারেজ ঘাটতি মোকাবিলার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন দুর্যোগের প্রভাব কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রধান অর্জনগুলোর মধ্যে আছে:

• বাংলাদেশ সরকার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামোর সঙ্গে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) আরো একীভূত করেছে, যার মধ্যে ২০১৯ সালে এটি দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশে (SOD) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

• ২০২৪ সালে ১৫টি অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) কার্যকর করা হয়েছে, যা ২০টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং চারটি প্রধান বিপর্যয়ের সময়—বর্ষার বন্যা, আকস্মিক বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তাপপ্রবাহ—প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

• বহুপক্ষীয় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (AA TWG) গঠন করা হয়েছে, যা জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে আরো সুসংহত হয়েছে।

• অ্যান্টিসিপেটরি পরিকল্পনায় এল নিনো পূর্বাভাস ও অন্যান্য পূর্বাভাসমূলক মডেল যুক্ত করা হয়েছে, যা সময়োচিত ও লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করেছে।

• অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন কার্যক্রমের জন্য মোট ১০.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে, যেখানে বহুপাক্ষিক দাতাগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

এই প্রতিবেদন সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, “এই প্রতিবেদনটি অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের মূল শিক্ষা, প্রভাব এবং প্রসারের সুযোগ তুলে ধরেছে। ২০২৪ সালে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি, যা অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে নগদ সহায়তা দিয়ে আমরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়েছি, জীবিকা সুরক্ষিত রেখেছি এবং মানুষের জন্য জরুরি সম্পদ নিশ্চিত করেছি। একইভাবে, জুলাই মাসের বন্যা ও স্থানীয় দুর্যোগের সময় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের সহায়তা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করে আরো দুর্যোগ মোকাবিলা করা, আগাম সতর্কতামূলক টুল উন্নতকরণ এবং কমিউনিটি লেভেলে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।”

এই অর্জন সত্ত্বেও প্রতিবেদনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। ২০২৫ সালের জন্য একটি বড় অর্থায়ন ঘাটতি রয়ে গেছে—প্রয়োজনীয় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এখনো অর্ধেকের বেশি অর্থের যোগান নিশ্চিত করা যায়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থায়নের প্রয়োজন বর্ষার বন্যার জন্য (২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ঘূর্ণিঝড়ের জন্য (১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং আকস্মিক বন্যার জন্য (৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এছাড়া, ২০২৪ সালে প্রয়োজনীয়তার মুখোমুখি ৫৪ শতাংশের বেশি পরিবার সহায়তা পায়নি, যেখানে আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে ৮৮.২ শতাংশ কাভারেজ ঘাটতি ছিল। কাভারেজ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা এখনো অত্যন্ত জরুরি।

প্রতিবেদনটি ২০২৫ সালে বাড়তে থাকা ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এটি কাভারেজের জন্য ২৩টি জেলা চিহ্নিত করেছে। ৪.১ মিলিয়নের বেশি পরিবার বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কায় আছে, যার মধ্যে ২.৭ মিলিয়ন পরিবার উল্লেখযোগ্য প্রভাবের শিকার হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য প্রতিবেদনটি ঝুঁকি পুলিং, অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বীমা এবং বহু বছরের অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি অনুসন্ধানের পরামর্শ দেয়, যাতে দীর্ঘমেয়াদী টেকসইতা নিশ্চিত করা যায়।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানুষের মতো আইনগত অধিকার পেল নিউজিল্যান্ডের পাহাড়
  • দেশে বেশি দারিদ্র্য মাদারীপুরে, কম নোয়াখালীতে
  • ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন’ প্রতিবেদন প্রকাশ
  • দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ১৯.২ শতাংশ
  • জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় পেছাল
  • জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ 
  • ফের রপ্তানি হতে পারে সুগন্ধি চাল
  • ছাত্রলীগের নির্মমতার নিরব সাক্ষী গল্প শোনালেন শিক্ষার্থীরা
  • অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ৩ বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
  • ‘পরীমণির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না’