মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরেই রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে তাহসান
Published: 17th, January 2025 GMT
চলতি মাসে মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করে হইচই ফেলে দেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান। বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় উড়ে যান মালদ্বীপে। আর সেখান থেকে ফিরেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে যান ‘আলো’খ্যাত এই গায়ক।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তাহসান খান তার ফেসবুকে বেশ কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের নানা মুহূর্ত রয়েছে। কিন্তু সেখানে দেন গিয়েছিলেন এই গায়ক? অবশ্য, এ প্রশ্নের উত্তর তাহসান নিজেই ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করেছেন।
তাহসান খান বলেন, “গতকাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি।”
আরো পড়ুন:
তাহসান ঘরণী রোজা
প্রিন্স মাহমুদের সুরে গাইলেন আনিসা-তাহসান
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন তাহসান। তারই অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে তাহসান বলেন, “মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে জীবন শুরু করেছে। আক্রান্তদের সহায়তা এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।”
তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদ নিউ ইয়র্কের ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসিবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। বেশ আগে তাদের পরিচয়। গত বছর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত ৪ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন এই যুগল।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।