পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়নের ধরন বদলাতে হবে। ভুল কাজের কারণে খাবার ও পানীয় নিরাপদ নেই। প্রকৃতিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে হবে। বায়ু, মাটি ও পানি রক্ষা করা জরুরি। শুক্রবার রাজধানীর নটরডেম কলেজে ১৫তম জাতীয় প্রকৃতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব। বৃক্ষরোপণ, জলাশয় রক্ষা ও প্লাস্টিক দূষণ কমানোর মতো ছোট ছোট উদ্যোগ প্রকৃতিকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখে। তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান তিনি জানান।

উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ মানবাধিকারের অংশ। এটি মানুষের পাশাপাশি প্রাণীদেরও অধিকার। আমাদের প্রকৃতিকেন্দ্রিক হতে হবে। যা সৃষ্টি করা যায় না, তা ধ্বংস করাও উচিত নয়। তিনি অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো বন্ধ, প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার না করা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন।

নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড.

ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিওর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের মডারেটর বিপ্লব কুমার দেব এবং প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণের অবদানের জন্য মুকিত মজুমদার বাবু, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এবং ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। উপদেষ্টা বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ১৫তম জাতীয় প্রকৃতি সম্মেলনে অংশ নেয় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের ১২শ শিক্ষার্থী। চিত্রাঙ্কন, গ্রিন ইভেন্ট, গ্রিন ডিবেট ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রদর্শনীতে উৎসবমুখর ছিল নটরডেম কলেজ ক্যাম্পাস।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুর-চট্টগ্রামের সামনে কোয়ালিফায়ারের যে সমীকরণ

বিপিএলের গ্রুপ পর্বের লড়াই শনিবার শেষ হবে। শেষ দিন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রাম নামবে কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে। 

চলতি বিপিএলে ১১ ম্যাচ খেলে ৫ জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। গ্রুপ পর্বের শেষ দিন শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে খুলনা। ওই ম্যাচে মেহেদী মিরাজরা জিতলে শেষ চারে চলে যাবে। হারলেই বিদায় নিতে হবে তাদের। 

দুর্বার রাজশাহী ১২ ম্যাচে ৬ জয় পেয়েছে। খুলনা জিতলে তাদেরও ৬ জয় হবে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে আছে খুলনা। যে কারণে শেষ ম্যাচে জিতলে সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে যাবেন মেহেদী মিরাজরা। 

একইভাবে দিনের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম কিংস। মোহাম্মদ মিঠুনের দল এই ম্যাচে জিতলে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করবে। রংপুর রাইডার্স নেমে যাবে এলিমিনেটরে। 

চট্টগ্রাম ১১ ম্যাচে ৭ জয় পেয়েছে। শেষ ম্যাচে জিতলে ৮ জয় হবে তাদের। একইভাবে ১২ ম্যাচে ৮ জয় আছে রংপুরের। কিন্তু নেট রান রেটে রংপুরের চেয়ে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম। রংপুরের নেট রান রেট +০.৭৬৪। চট্টগ্রামের নেট রান রেট +১.৫৩৪। 

শেষ ম্যাচে জিতলে তাই চট্টগ্রাম কিংস প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করবে। সেক্ষেত্রে প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম মুখোমুখি হবে। বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কোয়ালিফায়ারে জয়ী দল সরাসরি ফাইনালে যাবে। পরাজিত দল এলিমিনেটর থেকে জিতে আসা দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ