ট্রাম্পের অভিষেকে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট
Published: 17th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং। ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শি জিনপিং যাচ্ছেন না। তবে তাঁর পরিবর্তে যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংক।
অভিষেক অনুষ্ঠানের তিনদিন আগে আজ শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। হান ঝেং অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে তা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে চীনের কোনো সিনিয়র নেতার উপস্থিতির বিরল ঘটনা।
চীন জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং সোমবার ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প নভেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে, বেইজিং নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সংলাপ বাড়াতে প্রস্তুত।
চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) বলেছে, ‘আমরা নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে সংলাপ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারিত করতে প্রস্তুত। চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ কতে চাই। চীন সবসময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতার নীতি অনুসারে চীন-মার্কিন সম্পর্ককে দেখেছে এবং বিকাশ করেছে।
সিসিটিভি বলেছে, চীন ‘নতুন যুগে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সঠিক পথ খুঁজে বের করতে প্রস্তুত।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’