স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন বৃদ্ধির কী দরকার আছে? কোয়ালিটি ঠিক রাখতে না পারি, প্রফেসর দিতে না পারি, ভালো শিক্ষক না পাই, তাহলে ভালো ডাক্তার কোত্থেকে তৈরি হবে? কাজেই আমাদের এগুলো ভাবতে হচ্ছে, ভাবার চেষ্টা করছি। শুক্রবার সকালে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

কলেজগুলোর মানোন্নয়ন না হলে ভালো চিকিৎসক তৈরি করা সম্ভব নয় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এজন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই বিদ্যাপীঠগুলোতে আসন সংখ্যা না বাড়িয়ে মান বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

এ বছর মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মেডিকেলে আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে এ বছর প্রতিটি আসনের জন্য ২৫ জন (২৫ দশমিক ১৪) পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেবেন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একই আসনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই হিসাবে গত বছর একটি আসনের জন্য ১৯ দশমিক ৩৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এ বছর আসনপ্রতি ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে হয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে। ভালো কলেজে ভর্তি হন তালিকার প্রথমে থাকা শিক্ষার্থীরা। সরকারিতে ৫ হাজার ৩৮০ ও বেসরকারিতে ৬ হাজার ২৯৫ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ য উপদ ষ ট চ ক ৎসক ম ড ক ল কল জ উপদ ষ ট র জন য পর ক ষ আসন র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ