খুলনায় বিদেশি সিগারেট বিক্রির অপরাধে ২ দোকানিকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পৃথক দুই অভিযানে তাদের এই জরিমানা করে খুলনা জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কাস্টমস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) খুলনায় মিঠুন স্টোর নামের একটি দোকান থেকে অবৈধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। খুলনা জেলার শিববাড়ি মোড়ে অবস্থিত এই দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৪০০ শলাকা অবৈধ বিদেশি ব্র্যান্ডের ওরিস, মন্ড, থ্রি ফাইভ ও ব্ল্যাক সিগারেট জব্দ করা হয়।

আরো পড়ুন:

‘তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করা জরুরি’

মাগুরায় ২ রোহঙ্গিা গ্রেপ্তার, পেটে মিলল ইয়াবা

এ সময় অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার বাহিরদিয়া বাজারের রোহান স্টোরে অভিযান পরিচালনা করে কাস্টমস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় ওই দোকান থেকে ৪ হাজার শালাকা অবৈধ বিদেশি সিগারেট উদ্ধার করে। এর মধ্যে অরিস, মণ্ড, থ্রি ফাইভ, ব্লাক হ অন্যান্য ব্র্যান্ডের সিগারেটও রয়েছে। অবৈধ সিগারেট বিক্রির অভিযোগে ওই দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ সব অবৈধ সিগারেট পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

কাস্টমস খুলনা সূত্রে জানা যায়, এসব অবৈধ সিগারেট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ও বিস্তার রোধে এ ধরনের অভিযান সার্বক্ষণিক চলমান থাকবে। অভিযান পরিচালনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ