এমবাপ্পে মেসিকে হিংসা করতো: নেইমার
Published: 17th, January 2025 GMT
ব্রাজিলের তারকা নেইমার জানিয়েছেন, ২০২১ সালে লিওনেল মেসি যখন পিএসজিতে যোগ দেন তখন কিলিয়ান এমবাপ্পে তাকে কিছুটা হিংসা করতেন। অবশ্য সেটার কারণ ছিলেন নেইমার নিজে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক পডকাস্টে তিনি এমনটাই বলেছেন সাবেক পিএসজি তারকা।
পডকাস্টে বিশ্বকাপ জয়ী রোমারিও ৩২ বছর বয়সী নেইমারকে জিজ্ঞাসা করেন এমবাপ্পে কি বিরক্তিকর? জবাবে নেইমার বলেন, ‘‘না, সে বিরক্তিকর নয়। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা। তার সঙ্গে আমার কিছুটা ঝামেলা ছিল। কিন্তু সে আমাদের দলের জন্য অপরিহার্য ছিল। তাকে আমি গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম।’’
‘‘আমি সব সময় তার সঙ্গে খেলেছি। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিল। আমি সর্বদা সহায়তা করতাম, তার সঙ্গে কথা বলতাম। মাঝে মাঝে সে আমার বাসায় আসতো। আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খেতাম। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সময় কেটেছিল। কিন্তু যখন মেসি আসলো তখন সে কিছুটা হিংসুটে হয়ে উঠলো। সে আসলে চাইতো না আমার সঙ্গে অন্য কারও খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হোক। আমাদের দুজনের মধ্যে অন্য কেউ আসুক। এরপর আমাদের মধ্যে ঝামেলা হলো। আমাদের আচরণে পরিবর্তন আসলো।’’
আরো পড়ুন:
‘ফার্গি টাইমে’ ম্যাচ জিতে আমোরিম জানালেন ম্যানইউ ভালো খেলেনি
এন্ড্রিকের জোড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
এমবাপ্পে মোনাকো থেকে ২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিল। একই বছর নেইমারও রেকর্ড দল বদল ফিতে বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। তাদের দুজনকে পিএসজি দলে নিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার জন্য। যদিও সেটা এখনও তাদের জেতা হয়নি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’