নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনরায় সংযোজন করার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ। এতে সংহতি জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড.

নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মিলন কান্তি দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপংকর ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে সংগঠগুলোর নেতারা বলেছেন, “নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের চিত্রকর্ম বা গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে দেশের যে কোনো নাগরিকের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার বৈষ্যম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ চেতনা সংরক্ষণের দাবিতে গড়ে ওঠা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর হামলা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা আজও চলমান, যা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।”

হামলায় জড়িতদের শাস্তি এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ