সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ-বুরহানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। খবর আলজাজিরার।

বিবৃতি অনুযায়ী, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সুদানী সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন বাইডেন।

এতে আরও বলা হয়, আল-বুরহানের নেতৃত্বে এসএএফ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে স্কুল, বাজার ও হাসপাতালসহ সুরক্ষিত অবকাঠামোতে বিমান হামলা করা। বুরহানের বাহিনী নিয়মিত এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক অধিকার নষ্ট করেছেন। তারা যুদ্ধ কৌশল হিসেবে খাদ্য সরবরাহ আটকে দিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য দায়ী।

এসএএফের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাত্র কয়েক দিন পরেই বুরহানের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিল বাইডেন প্রশাসন ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর ন ষ ধ জ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ 

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের পদত্যাগপত্র পোস্ট করেছেন তিনি। গত ছয় মাস নিজের ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ‘সবচেয়ে তিক্ত’ সময় উল্লেখ করে পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, গত ছয় মাস ধরে তিনি ও তাঁর পরিবারকে জঘন্য অপমান ও অপবাদ সহ্য করতে হয়েছে। খবর-আনাদোলু
  
তবে জারিফের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। পদত্যাগপত্রে জারিফ আরও লেখেন, জাতীয় স্বার্থ এগিয়ে নিতে ছোটখাটো ভূমিকা রাখায় গত চার দশকে আমি অসংখ্য অপমান ও অভিযোগ সহ্য করেছি। বিরামহীন মিথ্যা ও বক্তব্য বিকৃতির মুখেও দেশের স্বার্থে আমি এত দিন চুপ ছিলাম। আশা করছি, আমার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সরকারের সফলতার পথে বাধা দূর হবে।

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আমলে আট বছর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জারিফ। ২০১৫ সালে পশ্চিমাদের সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিতে তিনি মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। জারিফকে নিজের সরকারে কৌশলগতবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। নির্বাচনী প্রচারে পেজেশকিয়ানের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন জারিফ।

সমালোচকদের অভিযোগ, জাভেদ জারিফকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। কারণ, তাঁর সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। পেজেশকিয়ানের মন্ত্রিসভা থেকে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা তাঁকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ