ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে ছুরিকাঘাতে আহত বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। শুধু তাই নয়, সাইফকে ‘সত্যিকারের নায়ক’ বলে মন্তব্য করেছেন লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী ডা. নীরাজ উত্তমণি। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাইফকে সত্যিকারের ‘নায়ক’ বলার ব্যাখ্যা দিয়ে ডা.

নীরাজ উত্তমণি বলেন, “সাইফ আলী খানকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন আমি প্রথম চিকিৎসক যে, তার সঙ্গে দেখা করি। তখন তার শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল, সেই সময়ে ৬-৭ বছরের পুত্র তৈমুরের সঙ্গে সিংহের মতো হাঁটছিলেন সাইফ। সে সত্যিকার অর্থেই একজন নায়ক। সিনেমায় তো হিরোগিরি করাই যায়। কিন্তু ঘরের ভেতরে আক্রমণ হয়েছে, তখনো কি হিরোর অভিনয় করা যায়? কিন্তু সেই অবস্থা থেকে সে বেরিয়ে আসে।”

সাইফ আলী খানের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করে ডা. নীরাজ উত্তমণি বলেন, “সাইফ আলী খান এখন ভালো আছেন। আইসিইউ থেকে তাকে একটি সাধারণ কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত আমরা ভিজিটিরদের অনুমতি দেব না। কারণ তার বিশ্রাম প্রয়োজন।”

আরো পড়ুন:

সাইফের ওপরে হামলা, মুখ খুললেন কারিনা

সাইফ-কারিনার আলোচিত বাড়ির মূল্য কত, কী আছে ভেতরে?

আজ সকালে হাসপাতালে গিয়েছেন সাইফ আলী খানের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান। হাসপাতালে সাইফের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। আজ সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ