হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় পথচারীর কাঁধে থাকা বাঁশ বুকে বিদ্ধ হয়ে আব্দুল মন্নাফ (৮০) নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী মারা গেছেন। 

নিহত আব্দুল মন্নাফ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরিণকোলা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য দেন মাধবপুর কাশিমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সোহেল রানা।  এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হরিণখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, আব্দুল মন্নাফ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের পাশে বসে হরিণখোলা থেকে চৌমুহনী বাজারে যাচ্ছিলেন। দুটি বাঁশ কাঁধে নিয়ে একই দিকে যাচ্ছিলেন অপর আরেক পথচারী। সিএনজিচালক আকস্মিক হর্ন দিলে পথচারী একটি বাঁশ নিচে ফেলে দেন এবং অটোরিকশার চালকের পাশে বসে থাকা যাত্রী মন্নাফের বুকে বাঁশটি ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয় যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল মন্নাফের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরে মরদেহ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

কাশিমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সোহেল রানা জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই

চট্টগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে মারধর এবং মুঠোফোন ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাফসীর ইমাম ও মো. সাইমন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই ইউসুফ আলীর চোখে পড়ে চরপাড়াঘাট এলাকায় কিছু স্থানীয় যুবক মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন। এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়ে যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। এসআই ইউসুফ আলী তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

আধা ঘণ্টা পর বেশ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে ফিরে আসেন ভুল স্বীকার করা দুই যুবক। এই সময় এসআই ইউসুফ আলী তাঁর সঙ্গে থাকা টহল গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যুবকেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো ভুয়া পুলিশ। আপনার আইডি কার্ড কই?’ এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসআই ইউসুফ আলীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাঁকে। ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ওয়াকিটকি সেট, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতেঙ্গা থানার পুলিশ এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে এসআই ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তারা বখাটে প্রকৃতির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্যামনগরে সাবেক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ
  • সাঁকোই ভরসা ১৭ গ্রামের মানুষের
  • পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • মব তৈরি করে এসআইকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার আরও ১০
  • পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশের এস আইয়ের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১০ 
  • চট্টগ্রামে এসআইর ওপর হামলা, দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই