ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। কখনো ব্যক্তিগত, কখনো পেশাগত— কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর কাজে ফিরেছেন পরীমণি। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পুত্র পুণ্যকে (পদ্ম) বড় করছেন। গত বছর একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন পরীমণি। আপাতত, দুই সন্তান আর কাজই তার ধ্যান-জ্ঞান।

পরীমণি স্বভাবে চটপটে। তবে সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে। চটপটে স্বভাব পরীমণির বাইরের কি।  ব্যক্তি জীবনে অন্তরের পরীমণি কি খুব একা, ক্লান্ত? ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের মুখে পড়েন এই নায়িকা।

এ বিষয়ে পরীমণি বলেন “নিজেকে নিয়ে এভাবে কোনো দিন ভাবিইনি। হ্যাঁ, কখনো কখনো অবশ্যই ক্লান্ত লাগে। দিনদুই আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছি, আমি নামেই পরী। আমার তো পরীদের মতো জীবন নয়। আমিও বাকিদের মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। আমারও মনখারাপ হয়, রাগ হয়, দুঃখ হয়। তবে এখন রাগ-অভিমান-মনখারাপের কোনো জায়গা জীবনে নেই। কার উপর রাগ করব? এই সব অনুভূতি সরে যাওয়ায় আমি সুখি।”

আরো পড়ুন:

আমার প্রেম হলে অনেকের মনটা ভেঙে যায়: পরীমণি

ছেলেকে নিয়ে ঘুরছেন রাজ, পরীমণি-রাজের সম্পর্কে বরফ গলেছে?

খানিক ব্যাখ্যা করে পরীমণি বলেন, “কারণ, এই অনুভূতিগুলো মনের উপরে ছাপ, চাপ— দুই-ই ফেলে। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। কারো ফোন ধরতে না পারলে বা আমার ফোন না ধরলে মনখারাপ…। কী জ্বালা বলুন তো! এসব নেই বলেই ছেলেমেয়েদের সামলেও কাজে মন দিতে পারছি।”

কিছুটা আফসোস নিয়ে পরীমণি বলেন, “আমার এটাই চ্যালেঞ্জ ছিল, একা হাতে সন্তান মানুষ করে পেশাজীবনেও উন্নতি করব। যাতে আমার দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে ওরা গর্ব করতে পারে। এই মনোযোগ যদি আরো আগে দেখাতাম, তা হলে আমার অবস্থান হয়তো অন্যরকম হতো।”

পরীমণি অভিনীত ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কলকাতায় মুক্তির কথা রয়েছে। এ সিনেমার মাধ্যমে টলিউডে তার অভিষেক হবে। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতায় যেতে পারেননি তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জন্মনিবন্ধনের তথ্য বলছে, বরিশালে র‍্যাবের অভিযানে নিহত ও আহত দুজনের বয়স ১৭

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সাদা পোশাকে র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে হতাহত দুজনই জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী শিশু-কিশোর।

যদিও নিহত কলেজছাত্র সিয়াম মোল্লার বয়স ২২ ও আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিব মোল্লার বয়স ২১ বছর বলে উল্লেখ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও র‍্যাবের পক্ষ থেকে করা মামলায় তাদের ওই বয়স উল্লেখ করা হয়।

দুই শিক্ষার্থীর বয়স বাড়িয়ে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে উল্লেখ করায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকাসক্ত ছিল না বলে দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে উজিরপুরের সাহেবের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

নিহত সিয়াম এই বিদ্যালয় থেকে গতবার এসএসসি পাস করে একই এলাকার আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাকিব মোল্লা এই বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী, নিহত সিয়ামের জন্ম ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। মৃত্যুর দিন ২১ এপ্রিল তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর ১ মাস ২৮ দিন। আর রাকিবের জন্ম ২০০৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স ১৭ বছর ৮ মাস ২০ দিন। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দুজনই শিশু-কিশোর।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‍্যাব-৮-এর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বয়সের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই এ ধরনের বিভ্রম হতে পারে। কারণ, অভিযানে যাওয়া র‍্যাবের সদস্যরা ওই দুজনকে চিনতেন না। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য অভিযানে গেলে সেখানে মাদক ব্যবসায়ী ১০-১১ জন মিলে র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলা করেছিলেন। এ জন্য আত্মরক্ষার্থে তাঁরা গুলি করতে বাধ্য হন। হামলায় র‍্যাবের দুজন সদস্যও আহত হয়েছেন।

র‍্যাবের অভিযানে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলার সাহেবেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ