‘আমি নামেই পরী, আমার জীবন পরীদের মতো নয়’
Published: 17th, January 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি। কখনো ব্যক্তিগত, কখনো পেশাগত— কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর কাজে ফিরেছেন পরীমণি। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পুত্র পুণ্যকে (পদ্ম) বড় করছেন। গত বছর একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন পরীমণি। আপাতত, দুই সন্তান আর কাজই তার ধ্যান-জ্ঞান।
পরীমণি স্বভাবে চটপটে। তবে সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে। চটপটে স্বভাব পরীমণির বাইরের কি। ব্যক্তি জীবনে অন্তরের পরীমণি কি খুব একা, ক্লান্ত? ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের মুখে পড়েন এই নায়িকা।
এ বিষয়ে পরীমণি বলেন “নিজেকে নিয়ে এভাবে কোনো দিন ভাবিইনি। হ্যাঁ, কখনো কখনো অবশ্যই ক্লান্ত লাগে। দিনদুই আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছি, আমি নামেই পরী। আমার তো পরীদের মতো জীবন নয়। আমিও বাকিদের মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। আমারও মনখারাপ হয়, রাগ হয়, দুঃখ হয়। তবে এখন রাগ-অভিমান-মনখারাপের কোনো জায়গা জীবনে নেই। কার উপর রাগ করব? এই সব অনুভূতি সরে যাওয়ায় আমি সুখি।”
আরো পড়ুন:
আমার প্রেম হলে অনেকের মনটা ভেঙে যায়: পরীমণি
ছেলেকে নিয়ে ঘুরছেন রাজ, পরীমণি-রাজের সম্পর্কে বরফ গলেছে?
খানিক ব্যাখ্যা করে পরীমণি বলেন, “কারণ, এই অনুভূতিগুলো মনের উপরে ছাপ, চাপ— দুই-ই ফেলে। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। কারো ফোন ধরতে না পারলে বা আমার ফোন না ধরলে মনখারাপ…। কী জ্বালা বলুন তো! এসব নেই বলেই ছেলেমেয়েদের সামলেও কাজে মন দিতে পারছি।”
কিছুটা আফসোস নিয়ে পরীমণি বলেন, “আমার এটাই চ্যালেঞ্জ ছিল, একা হাতে সন্তান মানুষ করে পেশাজীবনেও উন্নতি করব। যাতে আমার দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে ওরা গর্ব করতে পারে। এই মনোযোগ যদি আরো আগে দেখাতাম, তা হলে আমার অবস্থান হয়তো অন্যরকম হতো।”
পরীমণি অভিনীত ‘ফেলুবক্সী’ সিনেমা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কলকাতায় মুক্তির কথা রয়েছে। এ সিনেমার মাধ্যমে টলিউডে তার অভিষেক হবে। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতায় যেতে পারেননি তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ