এন্ড্রিকের জোড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
Published: 17th, January 2025 GMT
স্প্যানিশ কোপা ডেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে তারা ৫-৩ গোলে হারিয়েছে সেল্টা ভিগোকে। এই জয়ে জোড়া গোল করেছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তরুণ স্ট্রাইকার এন্ড্রিক। এছাড়া গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিউস জুনিয়র ও ফেদেরিকো ভালভার্দেও।
ম্যাচের প্রথমার্ধে এমবাপ্পে ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভিনিসিউসের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। তবে সেল্টা ভিগো শেষ মুহূর্তে গিয়ে নিজেদের জাত চেনায়। ৮৩ মিনিটে জনাথন বাম্বা ও ৯০+১ মিনিটের মাথায় মার্কোস আলোনসোর গোলে সমতা ফেরায়। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে অবশ্য খেই হারায় সেল্টা ভিগো।
বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা এন্ড্রিকের জোড়া গোলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সেল্টা ভিগো। ১০৮ মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে আবারও এগিয়ে নেন এন্ড্রিক। ১১২ মিনিটের মাথায় ভালভার্দের গোলে ব্যবধান বাড়ে। আর অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে (১১৯) এন্ড্রিক তার জোড়া গোল পূর্ণ করে ৫-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন। নিশ্চিত করেন কোয়ার্টার ফাইনাল।
আরো পড়ুন:
রিয়ালকে উড়িয়ে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন
ফাইনালে রিয়াল, মুখোমুখি বার্সার
ম্যাচ শেষে এই তরুণ তুর্কি বলেছেন, ‘‘এটা রিয়াল মাদ্রিদ। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করি। যতোক্ষণ পর্যন্ত না জয় পাই। আমরা কখনোই মনোবল হারাই না, সর্বদা লড়াই করি।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’