করপোরেট সেক্টরে যারা কাজ করেন তারা জানেন কাজের একটি ডেডলাইন থাকে। সেই অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিতে হয়। অনেক সময় লক্ষ্যে পৌঁছাতে সময়ের দিকে খেয়াল না করে দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেন-অনেকেই।  কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর কেমন প্রভাবে ফেলে জানেন?

চিকিৎসকেরা বলছেন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে চেয়ার ছেড়ে উঠতে না পারা একটি বাজে অভ্যাস। দিল্লির অ্যাপলো হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ খান্না স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকাটা অভ্যাসের পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তা পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। একটানা অনেক সময় বসে থাকলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। এবঙ পরিপাক তন্ত্রের ওপর চাপ ফেলে। দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে পাকস্থলী এবং অন্ত্রও সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। ফলে এই অঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।’’

সুদীপ খান্না আরও বলেন, ‘‘স্বাভাবিক হাঁটাচলার করলে, ক্যালোরি খরচ হয়। ফলে হজমও দ্রুত হয়। কিন্তু বসে থাকলে খাবার হজম হতে সময় বেশি লাগে। ফলে পেটভার হয়ে থাকে, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দেয়।  দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস হজমে সহায়ক মাইক্রোবিয়োমের ক্ষতি করে। পরোক্ষভাবে হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন, এমনকি মেজাজ খারাপ হয়।’’
 
করণীয় কী
চেয়ারে বসলে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন।
কাজের ফাঁকে নিয়মিত বিরতি নিন। অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট অন্তর ডেস্ক থেকে উঠে সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন। ওই সময় কাউকে ফোন করার মতো কাজও করে নিতে পারেন।
আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খান।
দই ও দুধ জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার তালিকায় রাখুন।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন:

এইচএমপি ভাইরাস: ৬ ধরনের রোগীকে সতর্কতার পরামর্শ

৩০ সেকেন্ড হাঁটলে কি ক্যালোরি খরচ হয়?

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর সময় ব

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ